এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাদান প্রক্রিয়া।পড়ুয়া, গবেষক সহ ৪৫ বছরের কম বয়সি শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীদের করোনার টিকা দেওয়া হবে।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে করোনা টিকা দেও্য়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।এর আগে করোনার প্রথম সারির যোদ্ধা হিসাবে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার টিকাদান পর্ব শুরু হয়।পাশাপাশি পুলিশকর্মীদেরও করোনার টিকা দান করা হয়।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা ঠিক করেছি ছাত্রছাত্রী, গবেষক সহ ৪৫ বছরের কম বয়সি শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের যাতে করোনার টিকা দেওয়া যায়।’ এর আগে ৪৫ বছরে ঊর্ধ্বে শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যাপারে আয়োজন করা হয়েছিল।বাকিদেরও যাতে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা যায়, এবার সেই চেষ্টাই করছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ইমেল করে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য পড়ুয়াদের করোনার টিকাদানের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী রায়চৌধুরী জানান, বিধি নিষেধ শিথিল হলেই পড়ুয়াদের টিকাদানের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সাউথ পয়েন্ট স্কুলের তরফেও পড়ুয়াদের করোনার টিকাদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।এদিন ১৮ বছরের উর্ধ্বে পড়ুয়া অর্থাৎ দ্বাদশ পাশ করে বেরিয়ে যাবে এমন পড়ুয়াদের করোনার টিকাদান প্রক্রিয়া শুরু হল। সাউথ পয়েন্টই প্রথম স্কুল যেখানে করোনার টিকাদান প্রক্রিয়া শুরু হল।স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, এই রকম ১২০ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হবে।স্কুলের ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দামানি বলেন,‘পরীক্ষার পর ওদের অনেককেই বাইরে বেরোতে হবে।তাই করোনার টিকা নেওয়াটা ওদের আশু প্রয়োজন ছিল।’