ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার দিকে আরও এক ধাপ এগোল বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ক্রান্তীয় ঘূর্ণাবর্তটি। পূর্বাভাস মিলিয়ে রবিবার দুপুরে সেটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার কেন্দ্রের কাছে বাতাসের গতিবেগ ঘোরাফেরা করছে ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটারে। রবিবার দুপুরে নিম্নচাপটির কেন্দ্রে বাতাসের চাপ ছিল ৯৯৮ মিলিবার। বুধবার ভূভাগে প্রবেশের সময় যা কমে পৌঁছতে পারে ৯৫৫ মিলিবারে।
পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দ্রুত শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে নিম্নচাপটি। তখন তার নাম হবে ‘ইয়াস’। সেজন্য যাবতীয় রসদ মজুত রয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলে। সোমবার দুপুরের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে বলে অনুমান। মঙ্গলবার সমুদ্রে আরও শক্তি সঞ্চয় করবে ঝড়টি। বুধবার সেটি আঘাত হানবে পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশা উপকূলে।
শনিবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে এই ঘূর্ণাবর্ত। যার পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৮০ শতাংশ বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ভূভাগে প্রবেশের সময় ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের কাছে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে। এক টানা বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিলোমিটার। প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হয়ে উপকূলে আঘাত হানবে ইয়াস। সেজন্য ইতিমধ্যে উপকূলে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন। সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।