মন্ত্র শুধু একটাই। যে করে হোক আটকাতে হবে বিজেপিকে। তবে তৃণমূলের সাহায্য ছাড়াই। তাই ‘সফদর হাসমির খুনি’-দের ডেরায় পৌঁছে গেলেন সিপিএম নেতারা। বুধবার ১ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে মিলেমিশে এক হয়ে গেল বিধান ভবন ও আলিমুদ্দিন।
বুধবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনে গিয়ে বিধানচন্দ্র রায়ের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, সিপিআই নেতা মনোজ ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা নরেন চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য বাম নেতারা।
এর পর সুজনবাবু বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিকভাবে তাঁর বিরোধী ছিলাম। কিন্তু তিনি যে একজন প্রবাদপ্রতীম ব্যক্তি ছিলেন তা মানতেই হবে।’ তবে বিধান রায় মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলেছিল সিপিআই। এমনকী দলকে নিষিদ্ধ করাতেও বিধান রায়ের ভূমিকা ছিল বলে দাবি করতেন বাম নেতারা। যদিও সুজনবাবুর দাবি, ‘ওসব পুরনো কথা। জ্যোতিবাবু সল্টলেকের নাম বিধাননগর দিয়েছিলেন। ফলে বিধান রায়কে আমরা শ্রদ্ধা আগেই জানিয়েছি।’
কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যৌথ আন্দোলনে নতুন দিকের সূচনা হল।’
বলে রাখি, রাজ্যপাট যাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের হাত ধরেছে সিপিএম সহ বামেরা। ২০১৬ সালের নির্বাচন আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে লড়েছিল বাম ও কংগ্রেস। দেখা যায় তাতে কংগ্রেসের আসনসংখ্যা বামেদের থেকে বেড়ে গিয়েছে। তাছাড়া ওই নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি জোটে আপত্তি ছিল সিপিএম নেতৃত্বের। ফলে ‘আঙুলে আঙুল রাখলেও হাত ধরা বারণ’-এর মতো একটা জোট হয়েছিল। যাতে মানুষ আস্থা রাখতে পারেননি।
লোকসভা নির্বাচনেও ছিল একই ছবি, বাম-কংগ্রেস জোটের বহু চেষ্টা হলেও শেষ পর্যন্ত কাজের কাজ হয়নি। যাদবপুরে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। পালচা মালদা দক্ষিণে ডালুবাবু ও বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি বামেরা।