দিনের পর দিন বাবা – মায়ের দেহ আগলে বসে রইলেন মেয়ে। এবার ঘটনা কলকাতার উত্তর শহরতলির বরাহনগরের। সোমবার বরাহনগরের টিএন বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের একটি আবাসনের একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রবীণ চিকিৎসক দম্পতির পচন ধরা দেহ উদ্ধার করেন পুলিশকর্মীরা। সঙ্গে উদ্ধার করা হয় দম্পতির মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েকে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরিবারটি এলাকায় কারও সঙ্গে মেলামেশা করত না। যোগাযোগ ছিল না আত্মীয়দের সঙ্গে। সোমবার সকালে ফ্ল্যাটটি থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করলে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। বরাহনগর থানার পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ৮০ বছরের বৃদ্ধের পচন ধরা দেহ উদ্ধার করেন। সঙ্গে উদ্ধার হয় তাঁর স্ত্রী সত্তোরর্ধ বৃদ্ধার দেহ। সঙ্গে উদ্ধার করা হয় দম্পতির মেয়েকে।
প্রাথমিকভাবে বয়োজনিত কারণে মৃত্যু বলে মনে হলেও ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ ২টি পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তে। পুলিশের অনুমান, মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে ফ্ল্যাট হাতাতে কেউ খুন করে থাকতে পারেন দম্পতিকে।
বরাহনগর থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বৃদ্ধের দেহে যেভাবে পচন ধরেছে তাতে মনে হয় অন্তত ৬ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে। বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে তার পরে। তাঁদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে না কি অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।