দিলীপ ঘোষ।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি থেকে শুরু করে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার সাক্ষাতের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সময় চাওয়া প্রভৃতি বিষয় নিয়ে একের পর এক তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে তোপ দাগার পাশাপাশি দার্জিলিং অনাস্থা ভোট, নলহাটিতে তৃণমূল নেতা বিপ্লব ওঝার তৃণমূলে যোগদান নিয়েও শাসকদলকে আক্রমণ করলেন দিলীপ। এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপের কটাক্ষ, ‘ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।’
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনের জন্য রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ মমতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘যখন প্রধানমন্ত্রী ডাকতেন উনি যেতেন না। কলাইকুণ্ডায় উনি বসে ছিলেন। উনি যাননি। আজ কী এমন ঠেকা পড়ল? যে ওনার কাছে সময় চাইতে হচ্ছে। আগে তো উনি এলে এদের লোকেরা গো ব্যাক শ্লোগান দিত। ঠেলায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে।’ এদিকে, রাজ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালুর সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলেই মনে করছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এটা ঐতিহাসিক। দেশে নিজস্ব পদ্ধতিতে সেমি বুলেট ট্রেন এসেছে। যা নতুন ভারতের উদাহরণ। শুধু রাজ্য পিছিয়ে যাচ্ছে। বাকি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তা দেখে পশ্চিমবঙ্গের শেখা উচিৎ। যেখানে মানুষ বিজেপির সম্পূর্ণ বিরোধিতা করল, সেখানেও উনি সেমি বুলেট ট্রেন দিলেন।’
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে এর আগেও বহুবার রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি এই দুর্নীতিকে বেনজির এবং ঐতিহাসিক কেলেঙ্কারি বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক কেলেঙ্কারি। প্রায় ১০–১১ বছর ধরে চলছে। ১০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। টাকা দিয়েও চাকরি পায়নি, এরকম অজস্র লোক আছে। ব্যাপক কেলেঙ্কারি। উল্লেখ্য, গতকালই বীরভূমের তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব ওঝা দল ছাড়ার পর বিজেপিতে যোগ দেন। এ প্রসঙ্গ নিয়েও তৃণমূলকে এক হাত নিতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘অনেকেই বিজেপিতে আসতে চাইছেন। বীরভূমে কিছু লোক করে খাচ্ছিল। তৃণমূলের ভালো লোকেরাও সমাজের চোখে ছোট হয়ে যাচ্ছিলেন। তারা আত্মগ্লানিতে ভুগছেন। এরা আসতে চাইবেন।’ অন্যদিকে, ২০২২ সালে দেশে এগিয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গ দুর্নীতিতে রেকর্ড গড়েছে বলে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি মনে করেন আগামী বছর ভালো যাবে।