বিজেপি যুব মোর্চার জোনাল পর্যবেক্ষক নিয়োগ নিয়ে ফের মুখোমুখি সংঘাতে দিলীপ ঘোষ ও সৌমিত্র খাঁ। এবার গোলাগুলির আওয়াজ বাইরে থেকে শোনা না গেলেও সৌমিত্রর সুপারিশ যে দলের রাজ্য সভাপতি আটকে দিয়েছেন তা স্পষ্ট। এই নিয়ে আগামীতে জল কতদূর গড়ায় তা দেখার।
দিলীপ ঘোষের নির্দেশে যুব মোর্চার জেলা সভাপতিতের তালিকা ঘোষণা করে প্রত্যাহার করতে হয়েছে সৌমিত্র খাঁকে। পরে কলমের এক খোঁচায় যুব মোর্চার সমস্ত জেলা কমিটি ভেঙে দেন দিলীপবাবু। এর পরই যুব মোর্চার সভাপতির পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। পরে যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সুরাহা হয়।
এর পর দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলেই জেলা কমিটি তৈরি করেন সৌমিত্র খাঁ। তাতে শিলমোহরও দেন দিলীপ। এর পর তৈরি হয় জোনাল পর্যবেক্ষকদের তালিকা। কিন্তু তাতে এখনই ছাড়পত্র দিতে রাজি নন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বিজেপি সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
তবে সৌমিত্রর তালিকা যে দিলীপবাবুর পছন্দ হয়নি তা টের পাওয়া গিয়েছে ইতিমধ্যেই। যুব মোর্চার কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক হিসাবে রাজু সরকারের নাম সুপারিশ করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তা খারিজ করে শঙ্কুদেব পন্ডাকে ওই পদে বসিয়েছে বিজেপি। যদিও তাদের দাবি, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কলকাতায় যুব মোর্চার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। সেগুলি আয়োজনের জন্যই শঙ্কুকে তড়িঘড়ি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ওদিকে বাকি চারটি জোনের পর্যবেক্ষক নিয়োগ স্থগিত রাখার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ ডিসেম্বর যুবমোর্চার উত্তরকন্যা অভিযান। সৌমিত্র খাঁ-সহ অন্যান্যরা সেই আয়োজনে ব্যস্ত রয়েছেন। সেসব মিটলে চূড়ান্ত হবে তালিকা।