স্কুলে অতক্ষণ ধরে কীভাবে মাস্ক পরে থাকবে ছাত্রছাত্রীরা?সকাল সাড়ে ৯টা মধ্যে কীভাবে ছাত্রছাত্রীরা ও শিক্ষকরা স্কুল যাবে। এনিয়ে নানা উদ্বেগ একেবারে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল অভিভাবকদের। এনিয়ে আইনি জটও তৈরি হচ্ছিল ক্রমশ। তবে এবার সেই জট কেটে গেল। রাজ্য ২৯শে অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল। ১৬ই নভেম্বর থেকেই স্কুল খুলছে বলে জানিয়েছিল রাজ্যসরকার। এবার রাজ্যের সেই সিদ্ধান্তই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এর সঙ্গেই করোনা পরিস্থিতিতে সরাসরি প্রভাবিত হচ্ছেন বলে কোনও শিক্ষক বা পড়ুয়া মনে করলে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জানাতে পারেন।
পাশাপাশি স্কুলে ঢোকার সময় সাধারণত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি হয়ে থাকে। তবে এবার তা এড়াতেও বিশেষ নির্দেশ আদালতের। স্কুলের টাইমের মধ্যেই অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ করার কথা জানিয়েছেন অ্য়াডভোকেট জেনারেল। এর সঙ্গে আদালত মনে করে, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে করোনা সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। সেকারণে স্কুল চলাকালীন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে করোনা সম্পর্কিত সচেতনতা বার্তা দেওয়া হবে।
এদিকে আইনজীবীরা জানিয়েছেন ,এমন অনিচ্ছুক অভিভাবকরাও রয়েছেন যারা ভ্যাকসিন না নেওয়া সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান না। এদিকে একাধিক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীও রয়েছেন যাঁদের ৯টা বা সাড়ে ৯টার সময় স্কুলে যেতে অসুবিধা হয়। এই বিষয়টিকে আদালতও গুরুত্ব দিয়ে দেখেছে। এক্ষেত্রে যদি তারা বিশেষভাবে আবেদন করেন তবে তাদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরাও চাই করোনা বিধি মেনে যাতে স্কুলগুলি খোলে। তবে আদালতের নির্দেশকে সাধুবাদ জানাব।