আমফানের ত্রাণ বন্টনের মতো ইয়াসের ত্রাণ অর্থাৎ ‘দুয়ারে ত্রাণ’ নিয়ে যাতে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ না ওঠে, সেজন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ইয়াসের ত্রাণ বন্টনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিকরা এই প্রক্রিয়া চালাবেন। কোনও পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভাকে এই কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এমনকী, দলের মাধ্যমেও ত্রাণ বন্টন করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এদিন একটি ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক করে জানিয়েছেন যে, আগামী ৩ জুন থেকে দুয়ারে ত্রাণ বিলির কাজ শুরু হচ্ছে। মূলত পাঁচ জেলায় প্রাথমিকভাবে দুয়ারে ত্রাণের কাজ হবে। সেগুলো হল, উত্তর-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর ও হাওড়া।
ইতিমধ্যেই রদবদল হয়েছে মুখ্যসচিবের। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এ বিষয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন। এবিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে আবেদনকারীর কাছ থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। সেগুলো ডিজিটালাইজড অর্থাৎ কম্পিউটারে সংরক্ষিত করতে হবে। এরপর সেই তথ্য অনুযায়ী সরকারি আধিকারিকরা আবেদনকারীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর প্রকৃত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। সেক্ষেত্রে আধিকারিকরা যদি সন্তুষ্ট হন, তাহলে ত্রাণ বন্টন প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপে এগিয়ে যাবে।
কীভাবে ত্রাণের টাকা দুর্গতদের বন্টন করতে হবে, প্রত্যেকটি সরকারি দফতরের আধিকারিকদের তার একটা প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জেলাশাসকেরাও।
এছাড়াও তথ্য মজুদ করার জন্য এই খাতে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট দেওয়া হবে। যার মধ্যে আবেদনকারীদের আবেদনপত্র সহ এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য বিস্তারিত ভাবে নথিভুক্ত করা থাকবে। শুধু তাই নয়, আবেদনপত্র জমা দিতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য প্রত্যেকটি সরকারি দফতরে একটি করে এই সংক্রান্ত ড্রপবক্স রেখে দেওয়া হবে।