গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যে প্রভূত উন্নতি হয়েছে করোনা পরিস্থিতির। যার জেরে একাধিক জেলায় দৈনিক সংক্রমণ নেমেছে তলানিতে। কলকাতা ও লাগোয়া এলাকাগুলিতেও সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। তবে রাজ্যের অন্ত ১০ জেলায় সংক্রমণ ৫০-এর কম বা তার আসেপাশে। তার পরেও সেখানে জারি রয়েছে করোনার বিধিনিষেধ। স্থানীয়দের প্রশ্ন, কলকাতায় সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে সেখানে কেন বন্ধ থাকবে অর্থনৈতিক কার্যকলাপ? অন্যান্য রাজ্যের মতো এরাজ্যেও জেলাভিত্তিক লকডাউনের দাবি তুলেছেন তাঁরা।
রাজ্যের একাধিক জেলায় করোনা সংক্রমণ নেমেছে এক সংখ্যায়। তার মধ্যে পুরুলিয়ায় মঙ্গলবার সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৩, মুর্শিদাবাদে সংখ্যাটা ৮, মালদায় ১০, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১১, আলিপুরদুয়ার ২২, উত্তর দিনাজপুর ৩৫, বীরভূম ৩৫, পশ্চিম বর্ধমান ৪৫, পূর্ব বর্ধমান ৫৩, ঝাড়গ্রাম ৫৩।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণ বেশি বলে যে সমস্ত জেলায় করোনা সংক্রমণ প্রায় নির্মূল হয়ে এসেছে সেখানে কেন জারি থাকবে বিধিনিষেধ। তাঁদের প্রশ্ন, কলকাতার চশমা দিয়ে কেন দেখা হবে পুরুলিয়া বা আলিপুরদুয়ারকে?
স্থানীয়দের দাবি, সরকারি তথ্য সঠিক হয়ে থাকলে যে সব জেলায় সংক্রমণ প্রায় নির্মূল হয়ে গিয়েছে সেখানে বিধিনিষেধে আরও ছাড় দেওয়া হোক। কাজ করে উপার্জন করুক প্রত্যন্ত এলাকার গরিব মানুষ। কেন পড়শি রাজ্য অসমের পথে হেঁটে সেই সব জেলা থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করছে না রাজ্য সরকার?