গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে কার্যত গেরুয়া ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল তৃণমূল। এরপর বিধানসভা নির্বাচনে গোটা বাংলায় যখন সবুজ সুনামি তখনও কোচবিহারে, জলপাইগুড়িতে, আলিপুরদুয়ারে, দার্জিলিংয়ে ভালো ফল করেছে বিজেপি। এদিকে তারপর থেকেই উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে পৃথক রাজ্য করার দাবি উঠতে শুরু করেছে বিজেপির অন্দরমহল থেকে। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্টও হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিগত দিনে পৃথক রাজ্যের দাবিতে কেপিপি, জিসিপিএ, মোর্চার আন্দোলন দেখেছে উত্তরবঙ্গ। এবার উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার নয়া দাবি। আর তারই পরিপ্রক্ষিতে সোমবার কার্যত ফুঁসে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'মনে হচ্ছে যেন মহারাণী নিজেই যেন নিজের ঘরের অলঙ্কার বিলি করছেন। যেন দেশটাকে এমন মনে করছে বিজেপি। এত সহজ? উত্তরবঙ্গ আর দক্ষিণবঙ্গের পার্থক্যটা কোথায়। পশ্চিমবঙ্গ ইস পশ্চিমবঙ্গ। দক্ষিণবঙ্গও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে। উত্তরবঙ্গও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে। কোনওরকম ডিভাইড অ্য়ান্ড রুল করতে দেব না।রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া এসব হবে না। বিজেপি যদি মনে করে জলপাইগুড়িটাকে বিক্রি করে দেব, অত সস্তার নয়, বিজেপি যদি মনে করে আমি আলিপুরদুয়ার বিক্রি করে দেব, কোচবিহার বিক্রি করে দেব, দার্জিলিং বিক্রি করে দেব, অত সস্তার নয়। নিজেরা দিল্লি সামলাতে পারে না। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মানে কী? কাশ্মীরের মতো নজরবন্দি করে রাখা? মুখ বন্ধ করে রেখে দেওয়া? তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া? বাংলাটাকে টুকরো টুকরো করতে চেয়ে কার স্বার্থ ওরা মেটাচ্ছে। এত বড় ধাক্কা খাওয়ার পরেও লজ্জা করে না। বাংলা ভাগের দিকে যারা তাকাবে বাংলার মানুষ তাদের উপযুক্ত জবাব দেবে। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ দুটোই আমার প্রিয়। দুটোই কন্যা। কোথাও কোথাও দক্ষিণবঙ্গের থেকেও উত্তরের কাজ বেশি হয়েছে।সমস্তটা ঢেলে সাজানো হয়েছে। দিল্লিকা লাড্ডু খাবে, সমস্ত ভবিষ্যৎ বিক্রি করে দিয়ে। উত্তরবঙ্গকে পরাধীন হতে দেব না। বিজেপির এই দাবিকে ধিক্কার জানাই।'