গত শনিবার যাদবপুরের কৃষ্ণা গ্লাস ফ্যাক্টরির একটি বেপরোয়া সেডান গাড়ি ফুটপাতে উঠে গিয়ে দুটি দোকানে ধাক্কা মারে। দ্রুত গতিতে চলা এই গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় টমাস সোমি কর্মকার নামে এক ব্যক্তির। আহত হয়েছেন ৫ জন। ইতিমধ্যেই, তদন্তে নেমে পুলিশ বছর ৩৩ যুবক রাহুল চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার সময় তিনিই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ জানতে পেরেছে যে ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। গাড়িতে কোন রকমের যান্ত্রিক সমস্যা ছিল না।
পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার ঠিক আগেই চায়না টাউনের একটি রেস্তোরাঁ থেকে ফিরছিলেন ওই যুবক। সেখানে তিনি খাবার খাওয়ার পর মদ পান করেছিলেন। তিনি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিলেন যে ঠাণ্ডার মধ্যেও গাড়ির শীততাপ নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তার চোখ অন্ধকার অবস্থায় চলে এসেছিল। তারপরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তার গাড়িতে ছিল আরও দুজন। তাদেরকে নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেই বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন রাহুল। তদন্তকারীরা গাড়ির যান্ত্রিক পরীক্ষা করে জানতে পেরেছেন গাড়িটি কমপক্ষে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় রাহুলের গাড়ি প্রথমে কোনও কিছুতে ধাক্কা মারার পর গাড়ির গতি কমে ৭০ এ পৌঁছায়। কিন্তু, তারপর আবার গাড়ির গতি বেগ বেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে রাহুল পালানোর চেষ্টা করছিল বলেই মনে করছে পুলিশ।
অন্যদিকে, রাহুলের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হলেও এখনও তা পুলিশের হাতে আসেনি। রাহুলের বাবা থাকেন ব্যাঙ্গালুরুতে। সেখানে ছিল রাহুলের গাড়ির লাইসেন্স। রাহুলের বাবা ঘটনার দুদিন পরে থানায় যান। তবে লাইসেন্স এখনও পুলিশের হাতে না আসায় তার বিরুদ্ধে আরও কড়া ধারা যুক্ত করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।