করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মণ্ডপে দর্শনার্থী প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চমীর দিন সকালে খারিজ করা হল ফোরাম অফ দুর্গোৎসবের আর্জি। তবে সোমবারের রায়ে সামান্য পরিবর্তন করল ডিভিশন বেঞ্চ।
বুধবারের শুনানি অনুযায়ী, মণ্ডপের সামনে ‘নো এন্ট্রি জোন’ বজায় থাকছে। সেখানে কোনও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে পর্যাপ্ত করোনাভাইরাস বিধি সেখানে ঢাকিদের থাকার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। মাস্ক পরে থাকার পাশাপাশি তাঁদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
সোমবারের রায়ে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, প্রতিটি মণ্ডপের বাইরে ব্যারিকেড দিতে হবে। ছোটো মণ্ডপের ক্ষেত্রে পাঁচ মিটার দূরে ব্যারিকেড করতে হবে। বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সেই ব্যারিকেডের দূরত্ব হবে ১০ মিটার। সেই নির্দেশ বহাল থাকছে। একইসঙ্গে অঞ্জলি ও সিঁদুর খেলার উপরও নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকছে।
তবে সোমবারের রায় কিছুটা পরিবর্তন করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, বড় মণ্ডপে প্রবেশের জন্য ৬০ জনের তালিকা তৈরি করা যাবে। তবে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৫ জন প্রবেশ করতে পারবেন। আগে ২৫ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। একইভাবে ছোটো মণ্ডপে (৩০০ বর্গমিটারের কম) ১৫ জনের তালিকা তৈরি করা যাবে। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। সোমবারের রায়ে ছোটো মণ্ডপে ১৫ জন উদ্যোক্তাকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।
পাশাপাশি উদ্যোক্তারা ছাড়া মণ্ডপে স্থানীয়দের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল আটটার মধ্যে সেই তালিকা তৈরি করতে হবে। তবে আগের কড়া নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রতিদিন সেই তালিকা পরিবর্তন করা যাবে। আগে সেই অনুমতি দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ।