রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনা। উৎসবের পর সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগে থেকেই অ্যাম্বুল্যান্স এবং হাসপাতালের বেডের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত রাখার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আবহে পুজো–উৎসব নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। পুজোয় মাস্কের বাধ্যতামূলকের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সকলে মাস্ক পরছেন কিনা সেদিকে পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের নজর রাখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
পুজোর পর সংক্রমণ ব্যাপক হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও এদিন কলকাতা হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পুজো প্যাণ্ডেলের ৫ থেকে ১০ মিটারের মধ্যে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সোমবার নবান্নে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পুজোর আগে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়। ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, ডিজি, কলকাতা, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার। এছাড়াও ছিলেন কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের কমিশনার, বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অন্যান্য দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
পুজোর সময়ে অসতর্ক হলেই সংক্রমণের গ্রাফ আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা। তার ফলে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ আরও চওড়া হচ্ছে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার–সহ অন্য প্রশাসনিক আধিকারিকরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও প্রোটোকল মেনে পুজোর আগে সব ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে তা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই বৈঠকে পুজোর আগে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়। এছাড়াও বাংলার আইনশৃঙ্খলা, পুজো পরিচালনা এবং বিসর্জন সম্পর্কে বিস্তারিত কথাবার্তা হয়। পুজের সময় যাতে বাংলার প্রত্যেক মানুষ প্রয়োজনে অ্যাম্বুল্যান্স, হাসপাতালে বেড ও সবরকম সাহায্য পান, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।