আট বছরের দেরিতে অবশেষে ২০২২ সালে শেষ হতে চলেছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। গঙ্গানদীর নীচ দিয়ে যাবে এই মেট্রো, অনেকটা লাঘব হবে নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি।
কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মানিক সরকার জানিয়েছেন যে রেলমন্ত্রকের থেকে ২০০ কোটি টকার অপেক্ষায় আছেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে ১৪ কিলোমিটার পথের জন্য ৪৯০০ কোটি টাকা খরচ হবে এই হিসাব করা হয়েছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে খরচ বেড়ে হয়েছে ৮৬০০ কোটি ১৭ কিলোমিটার পথের জন্য। এর মধ্যে ৪১০০ কোটি টাকা জাপান ইনটারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সির থেকে সফট লোন বাবদ নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে নয়াবাদ থেকে কবি সুভাষ অবধি যে মেট্রো চলছে, তার সঙ্গে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো চালু হয়ে গেলে কলকাতায় ৪০ শতাংশ জনতা এটিই ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন মানিক সরকার। এতে রাস্তা ঘাটে যানজট অনেকটা কমবে বলেই তাঁর বিশ্বাস। দিনে ৯ লক্ষ লোক এই মেট্রোতে চড়বেন বলে আশা করা হচ্ছে। হাওড়া ব্রিজ ফেরি করে পার হতে মিনিট কুড়ি লাগে। বাসে দশ মিনিট লাগে কম করে। এখানে এক মিনিটেরও কম সময় ৫২০ মিটারের জলের তলার টানেল পেরিয়ে যাবে মেট্রো।
জাপানি ঋণ ৩০ বছর ধরে শোধ দেবে কলকাতা মেট্রো কর্পোরেশন। প্রথম ছয় বছর কোনও টাকা দিতে হবে না। এরপর ১.২ থেকে ১.৬ শতাংশ সুদে ধাপে ধাপে টাকা ফেরত দিতে হবে। রেলমন্ত্রক ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের যৌথ মালিকানায় তৈরী হচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো।