পুজোর আগেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য ইডিকে অনুমতি দিয়েছিল আদালত। কিন্তু, আদালতের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও সুজয় কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। তা অব্যাহত থাকল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হল কেন্দ্রীয় সংস্থা।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে গিয়ে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করবে ED, অনুমতি দিল আদালত
কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন ইডির আধিকারিকরা। তবে হাসপাতালের সুপার জানিয়ে দেন, কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য শারীরিক অবস্থা ভালো থাকা প্রয়োজন। সুজয় কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও তিনি এখন কণ্ঠস্বরের নমুনা দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। তাই এ বিষয়ে আপত্তি জানান সুপার। তিনি জানান, মেডিক্যাল বোর্ড সবুজ সংকেত দিলে তবেই নমুন সংগ্রহ করা যাবে। এই অবস্থায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পেতে ডিরেক্টরের কাছে যান ইডির আধিকারিকরা।
গত সপ্তাহে বিশেষ পিএমএলএ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে ইডি। তবে তাকে কোনওভাবে মানসিক চাপ দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারি হয়েছে সুজয় কৃষ্ণের। সেই সময় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে হয়েছিল। তবে প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পরেই তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তারপর প্রেসিডেন্টের জেল কর্তৃপক্ষ তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারপর থেকেই তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে রয়েছেন। সে ক্ষেত্রে এতদিন ধরে কেন তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ইডির দাবি, একাধিক প্রভাবশালীর সঙ্গে কালীঘাটের কাকুর কথোপকথনের প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। তাই সেগুলি খতিয়ে দেখতে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। তাছাড়া সুজয়কৃষ্ণ আগে দাবি করেছিলেন, তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে কাজ করতেন। এই অবস্থায় দ্রুত তার কণ্ঠস্বর পরীক্ষার কাজ সেরে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চান ইডির আধিকারিকরা। এদিকে, কী কারণে সুজয়কৃষ্ণকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে? কী সমস্যা আছে? কী ওষুধ দেওয়া হচ্ছে? তা নিয়ে হাসপাতাল সুপারের বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি।