প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির তদন্তে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেল ইডি। রাজ্যের বিভিন্ন ডিএলএড কলেজ থেকে নিয়োগের জন্য টাকা তোলা হত বলে মনে করছেন ইডির আধিকারিকরা। সেই কারণে রাজ্যের একাধিক ডিএলএড কলেজের উপর নজর রাখছে ইডি। সে ক্ষেত্রে কীভাবে লেনদেন হতো সেই বিষয়টি নিয়ে আরও স্পষ্ট হতে তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে ইডির নজর রয়েছে রাজ্যের ৫৬০ ডিএলএড কলেজের উপর। প্রাথমিকভাবে ইডি আধিকারিকদের অনুমান, এই সমস্ত ডিএলএড কলেজের পড়ুয়াদের মধ্য থেকে চাকরির জন্য প্রার্থী বাছাই করা হত এবং তাদের কাছ থেকে মোটা টাকা তোলা হতো। শুধু তাই নয় এর মধ্যে অনেক ডিএলএড কলেজ বহু নেতা-মন্ত্রীদের দ্বারা পরিচালিত হতো। এই সমস্ত কলেজে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি হওয়ার ফলে বেশ মোটা টাকা উঠে আসতো। ৫০টি সিট পিছু বছরে ১২ কোটি টাকা উঠে আসতো বলে অনুমান ইডির আধিকারিকদের।
এই পুরো ঘটনায় মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ দুজনের হদিস পেয়েছে ইডি। যারা মূলত পড়ুয়াদের সঙ্গে সেতুবন্ধনের কাজ করত। যার মধ্যে একজনের বাড়ি নদিয়া এবং আরেকজনের বাড়ি কলকাতার যাদবপুরে। এই সমস্ত বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ইডি জানতে পারলেও তার ভিতরে আরও গভীর রহস্য রয়েছে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। সেই জন্যই মানিক ভট্টাচার্যকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে জানা গিয়েছে।