অমিত শাহের অভিযোগকে হাতিয়ার করে ইডির বিরুদ্ধে একই ধরণের অভিযোগ করলে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর দাবি, তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলতে চাপ দিচ্ছে ইডি। যদিও বিজেপির দাবি, জেল হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশের শিখিয়ে দেওয়া বুলি আউড়াচ্ছেন কুন্তল।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতারির পর বর্তমানে কুন্তল ঘোষের ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার। বৃহস্পতিবার হেফাজতের মেয়াদ শেষে আদালতের পেশের সময় বিস্ফোরক দাবি করেন হুগলির বলাগড়ের এই যুব তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করার জন্য ইডি আমাকে চাপ দিচ্ছে’। বুধবার শহিদ মিনারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভামঞ্চ থেকে এই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সারদার সময় থেকে আমার নাম জড়ানোর চেষ্টা চলছে। কুণাল ঘোষ, মদন মিত্রকে জিজ্ঞাসা করুন। ওদেরও আমার নাম বলতে চাপ দেওয়া হয়েছিল’।
বুধবার এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, গুজরাতে ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় নরেন্দ্র মোদীর নাম বলার জন্য তাঁকে চাপ দিয়েছিল সিবিআই।
বিজেপির দাবি, কুন্তল বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। সেখানে পুলিশ যা শিখিয়ে দিচ্ছে তাই বলছে। পালটা তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যখন বলছেন এজেন্সি তাঁকে চাপ দিয়েছিল, তাহলে এক্ষেত্রেও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় কি?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেকের সংস্থার পুরনো কর্মী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম জড়িয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সংস্থায় সুজয়কৃষ্ণের বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন ইডির গোয়েন্দারা।