কলকাতা হাইকোর্টে শেষ হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে SSKM হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশের বিরুদ্ধে ED-র দায়ের করা মামলার শুনানি। রবিবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে এই মামলার শুনানিতে দুপক্ষের তুমুল বাদানুবাদ হয়। ইডি দাবি করে, অসুস্থতার নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পার্থ। পালটা পার্থর আইনজীবীরা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে ইডি।
রবিবার বিকেল ৪টেয় কলকাতা হাইকোর্টে শুরু হয় ED-র দায়ের করা মামলার শুনানি। সেখানে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, ‘ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে ডনের মতো ব্যবহার করছেন পার্থবাবু। হাসপাতালে তিনি রাজার হালে রয়েছেন। SSKM কর্তৃপক্ষ ED-র সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। অসুস্থতার নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পার্থ। জোকা ESI হাসপাতালে পরীক্ষানিরীক্ষায় তার কোনও অসুস্থতা ধরা পড়েনি।’
একই সঙ্গে ED-রপ তরফে জানানো হয়, ‘প্রচুর চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাদের ন্যায় দিতে পার্থবাবুকে জেরা করা প্রয়োজন। কিন্তু SSKM-এ পার্থবাবুকে জেরা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই কল্যাণী বা দিল্লি এইমসে তাঁকে ভর্তি করতে চায় ইডি।’
পালটা পার্থবাবুর আইনজীবীরা সওয়াল করেন, ‘কেন্দ্রীয় সংস্থার চিকিৎসকদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে ইডি। ESI হাসপাতালের রিপোর্টে চিকিৎসকের হাতে লেখা মন্তব্য রয়েছে। যদিও বাকি রিপোর্টটি কম্পিউটারে প্রিন্ট। চিকিৎসককে চাপ দিয়ে ওই মন্তব্য লেখানো হয়েছে।’
দুপক্ষের সওয়াল শুনে বিচারপতি চৌধুরী বলেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কল্যাণী এইমসে ভর্তির প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আর তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়াও সম্ভব নয়। বরং অন্য কোনও জায়গা থেকে চিকিৎসকদের এনে তাঁকে পরীক্ষা করানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ভূবনেশ্বর এইমসের চিকিৎসকদের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তাঁরা এসে পার্থবাবুকে পরীক্ষা করে মত জানাবেন।’ এই প্রস্তাবেও সম্মতি দেয় ইডি। এর পর রায়দান স্থগিত বলে ঘোষণা করেন বিচারপতি চৌধুরী।