এগরার খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হল আরও ১ জনের। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার শেঠ সুখলাল কারনানি মেমোরিয়াল হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ মাইতি। গত মঙ্গলবার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১।
গত মঙ্গলবার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তাঁকে উদ্ধার করে এগরা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। রাতেই SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। প্রথমে বার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হলেও অবস্থায় অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় দগ্ধ পিঙ্কি মাইতি এখনো ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।
এগরা বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। শুক্রবার ভোর রাতে কটকের হাসপাতালে মৃত্যু হয় কারখানার মালিক ভানু বাগের। সন্ধ্যায় মৃত্যু হল রবীন্দ্রনাথবাবুর।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ভানু বাগের বাজি কারখানার আড়ালে বোমা তৈরির কাজ চলত। কারখানার লাইসেন্সের মেয়াদ ২০২০ সালে ফুরালেও কাজ বন্ধ হয়নি। ২০২২ সালের নভেম্বরে ভানু বাগ গ্রেফতার হলে কয়েক মাস কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু ফের চালু হয় কারখানা।
স্থানীয়দের দাবি, ওই কারখানা থেকে বোমা সরবরাহ হত। বোমা যেত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বিস্ফোরণে নিহত এক মহিলার নাবালক ছেলে জানিয়েছে। মা-কে কাজে যেতে বাধ্য করত ভানু বাগ ও তাঁর সঙ্গীরা। কাজে না গেলে বাড়িতে বোমা ছোড়ার হুমকি দিত তারা।