হস্টেল ছাড়ছেন না আবাসিকরা, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল আলিয়া কর্তৃপক্ষ

এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার আলিয়া ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান হস্টেলের আবাসিকরা।

 আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি (সৌজন্যে ফেসবুক )

সরকারি নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও হোস্টেল ছাড়ছেন না আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বহু ছাত্র-ছাত্রী। যা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পড়ুয়াদের ঝামেলা চলছিল। হোস্টেলের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ার পর এবার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল আলিয়া হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার বেশ কিছুক্ষণ ধরে আলিয়া হস্টেলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার আলিয়া ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখান হস্টেলের আবাসিকরা।

সরকার স্কুল, কলেজ, সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ জারি করার পরেই আবাসিকদের এই হস্টেল ছেড়ে বাড়ি চলে দেওয়ার নির্দেশিকা দেওয়া হয়। কিন্তু, এখনও দেখা যায় যে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছেলেদের ৬০০ জনের মধ্যে এখনও প্রায় ২০ জন রয়েছেন অন্যদিকে, মেয়েদের ৩০০ জনের মধ্যে রয়েছেন এখনও ১০ জনের বেশি পড়ুয়া। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইছেন ওই সমস্ত পড়ুয়ারাও বাড়ি ফিরে যান ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতে, হস্টেলের বহুতল বিল্ডিংয়ের অনেক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিন করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী সেই কথা মাথায় রেখেই আবাসিকদের মধ্যেও যাতে করোনার সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য তাদের বাড়ি চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, তারা সেই নির্দেশ মানছে না বলে পাল্টা অভিযোগ করেছে কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, পড়ুয়াদের অনেকেরই বক্তব্য, তাদের বাড়ি অনেক দূরদূরান্তে হওয়ায় তাদের পক্ষে ফেরা সম্ভব হচ্ছে না। উল্লেখ্য, ছেলেদের হস্টেলে বেশ কয়েকজন বিদেশি পড়ুয়া ছিলেন। কিছুদিন আগেই তারা বাড়ি ফিরেছেন। অন্যদিকে, মেয়েদের হস্টেল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের কয়েকজন বাসিন্দা কিছুদিন আগেই বাড়ি ফিরেছেন। এখনও যারা হোস্টেলের রয়েছেন তারা অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। ফলে তাদের পক্ষে বাড়ি ফেরা সম্ভব বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

আবাসিকদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে এবং মেয়েদের হস্টেলে বৃহস্পতিবার রাতভর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল। যার ফলে পানীয় জল না আসায় তাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এই আচরণের প্রতিবাদে শুক্রবার আলিয়া ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা। তাদের বক্তব্য, তারা কোনও ভাবেই হস্টেল ছাড়বেন না।

অন্যদিকে, তালা বন্ধ এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে হস্টেল কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, 'পড়ুয়াদের ভালোর জন্যই তারা এসব করছেন। এখানে তাদের কিছু হয়ে গেলে দেখার কেউ নেই। বাড়ি গেলেই তারা ভালো থাকবেন।' তবে বিদ্যুৎ সংযোগ কিছুক্ষণ পরে স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি হোস্টেল কর্তৃপক্ষের।