খাবার খাওয়ার পর অনেকেই মৌরি চেবানো পছন্দ করেন। বিশেষ করে মৌরির রং যদি সবুজ হয় তাহলে তা আরও সতেজ মনে হয় । আর তা দেখেই লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। তবে শুনলে অবাক হবেন যে এবার মৌরিতেও চলে এসেছে ভেজাল । আর বাজারেও সেগুলো দেদার বিক্রি করছেন ভেজাল তৈরির কারবারিরা। মশলার পর এবার শহরে ভেজাল মৌরি বিক্রির হদিশ পেলেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের গোয়েন্দারা।
শনিবার বড় বাজারের ৪৫বি, কালিকৃষ্ণ টেগোর লেনে'মা কামাখ্যা এন্টারপ্রাইসে হানা দিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারেন বড়বাজার থেকে বস্তা বস্তা ভেজাল মৌরি এবং ভেজাল জিরে সরবরাহ করা হচ্ছে কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সাধারণ মানুষের অজান্তেই শহরে দেদার বিক্রি হচ্ছে ভেজাল মৌরি। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ভেজাল মৌরি তৈরির কারবারি এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যবসায়ীর নাম অরুণ কুমার গুপ্ত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের গোয়েন্দারা পুলিশের কাছে আগেই এই খবর দিয়েছিলেন। সেই মতই এদিন অভিযোগ চালানো হয় ওই গোডাউনে। সেখানে হানা দিতে পাঁচটি বস্তায় ১৫০ কিলো ভেজাল মৌরি এবং সাতটি বস্তায় প্রায় ২১০ কিলো ভেজাল জিরে উদ্ধার হয়েছে।
ব্যবসায়ীকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ভেজাল মৌরি এবং জিরে তৈরির ব্যবসা করছিলেন। সেগুলি তৈরি করার পর বাজারজাত করা হয়। এরপরেই তা পৌঁছে যেত বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁয়। ধৃত ব্যাবসায়ী জানিয়েছেন, মৌরির সঙ্গে এক প্রকারের সবুজ রং মিশিয়ে তা বিক্রি করা হত। সবুজ রং মেশানো হলে মৌরিকে আরও সতেজ দেখায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সবুজ রং মানুষের শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। অন্যদিকে, জিরের সঙ্গে এক প্রকারের ফল মেশানো হয়। যা জিরের মতই দেখতে। তবে এগুলি গবাদিপশুর খাবার হওয়ায় দাম কম। সেই সঙ্গে এই বীজগুলি ও মানুষের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোটা লাভের আশায় এরকমভাবে ভেজাল মৌরি ও জিরে বাজারে বিক্রি করতেন ওই ব্যবসায়ী। এগুলির নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।