বিধানসভা নির্বাচনের মুখে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই)। আইকোর চিটফান্ড মামলায় তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনে ব্যস্ততা ও প্রচার থাকায় যেতে পারেননি পার্থবাবু। গত ৭ এপ্রিল হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু গত ১০ এপ্রিল পার্থবাবুর কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমে ভোট ছিল। তাই যাওয়া হয়নি তাঁর। এবার ওই একই দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। এমনকী পার্থ ঘনিষ্ঠ কলকাতা পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকেও ডেকে পাঠাল ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, আইকোরের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ভিজিল্যান্স কমিশনের চিঠি সূত্রে পার্থকে তলব করেছিল সিবিআই। যদিও আগে সিবিআইয়ের নোটিশ প্রসঙ্গে পার্থ বলেছিলেন, ‘এমন কোনও অন্যায় করিনি যে চিন্তিত হতে হবে।’ তদন্তকারীদের অভিযোগ, ওই অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্টদের বৈঠকে উপস্থিত থেকে সেখানে বিনিয়োগ করার জন্য সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তদন্তে উঠে আসে, কলকাতা পুরসভায় বিদায়ী কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল আইকোর শীর্ষ কর্তৃপক্ষের। তাই এবার তাঁকেও ডেকে পাঠাল ইডি।
এবার বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে থেকেই চিটফান্ড তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অতিসক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে ভোটের মুখে ডেকে পাঠানো যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সেই অভিযোগই করেছে ঘাসফুল শিবির। পার্থবাবু ছাড়াও এর আগে কুণাল ঘোষ, মদন মিত্র, সমীর চক্রবর্তীদের তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এখন আর তিনি নিজের কেন্দ্রে ভোট আছে বলে ব্যস্ততা দেখাতে পারবেন না।