কেষ্টপুরের পর নিউটাউনের আবাসন থেকে উদ্ধার হল টাকার স্তূপ। ঝাড়খণ্ডের গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে আজ, শুক্রবার কলকাতা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গ্রেফতার হওয়া দু’জনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকাও। তবে এই দু’জনই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে ইডি সূত্রে খবর। বুধবার কেষ্টপুরের একটি ভাড়া বাড়িতে হানা দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা উদ্ধার করেছিল প্রায় দু’কোটি টাকা নগদ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নিউটাউন থেকে এবার দু’জনকে গ্রেফতার করল ইডি।
এদিকে আজ শুক্রবার নিউটাউনে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসাররা। একটি অভিজাত আবাসন থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতারের আগে গোটা বিষয়টি কেউ টের পাননি। ধৃতদের নাম সন্তোষ যাদব ও সাগর যাদব। ইডি সূত্রে খবর, গেমিং অ্যাপ কাণ্ডের মাথা এই সন্তোষ যাদব। আর ধৃত সাগর তার বিশ্বস্ত শাগরেদ। এই দু’জন মিলে গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা প্রতারণা করেছে তারা। এই টাকা নিয়ে অন্য রাজ্যে গা–ঢাকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল দুই অভিযুক্ত। তবে এই দু’জনের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে ইডি সূত্রে খবর, ধৃতদের আরও বড় পরিকল্পনা ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সাগর আর সন্তোষ একটা লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল। সেটি হল—এক কোটি টাকা প্রতারণা করে জমাতে পারলে তারা এখান থেকে তল্পিতল্পা গুটিয়ে ঝাড়খণ্ডে পাড়ি দেবে। তবে সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনোর আগেই তাঁদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। কোটি টাকার স্বপ্ন অধরাই থেকেই গেল। এই প্রতারণার অভিযোগ আগে জমা পড়েছিল ঝাড়খণ্ডে। সেই তদন্তে নেমে বুধবার কেষ্টপুরে হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় এক কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। রবীন নামের ওই ব্যক্তি কলকাতার বাসিন্দা। নগদ টাকা–সহ ওই বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন এবং এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছিল ইডি।
আরও পড়ুন: এসএসকেএম হাসপাতালে হাজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, হঠাৎ কেন এলেন এখানে?
আর আজ, শুক্রবার একই ঘটনায় নিউটাউনে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। ইডি দু’জনকে আজ গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার কলকাতার অন্তত ৯টি জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসাররা। বর্ষশেষের আগে জোরদার তল্লাশিতে নেমেছে ইডি। আলিপুর–সহ মানিকতলা, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, বড়বাজার, ডালহৌসি, সল্টলেকে হানা দেয় ইডি অফিসাররা। তবে সেই তল্লাশি অভিযানের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের ঘটনার সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু এই দু’জন বড় প্রতারণার ছক সাজিয়েছিল বর্ষবরণের উদ্দেশে। যা বানচাল হয়ে গেল।