ভুয়ো আইপিএস দেবাঞ্জন দেব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর(ইডি)। মূলত আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়মের খোঁজ পেতে চাইছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতারণাচক্রের মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেব সহ ধৃত ৫জনকেই জেরা করতে চাইছে ইডি। যে যেখানে রয়েছে সেখানে গিয়েই তাদের জেরা করতে চাইছে ইডি। সূত্রের খবর দেবাঞ্জন সহ ধৃত অন্যান্যদের জেরা করতে চেয়ে বিশেষ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। তার অনুমতিও মিলেছে। দেবাঞ্জনের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ ফুরোলেই তাকে জেরাও শুরু হয়ে যাবে বলে সূত্রের খবর।
রীতিমতো নীলবাতির গাড়ি চেপে ঘুরে বেড়াত দেবাঞ্জন। বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানেও অবাধ যাতায়াত ছিল তার। অভিযোগ এমনটাই। এবার সরকারি দফতরের অন্দরে এমন একজন ভুয়ো ব্যক্তির অবাধ যাতায়াতের প্রসঙ্গ ভাবাচ্ছে ইডি আধিকারিকদের। আসলে একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করছে ইডি। কলকাতা পুরসভার যুগ্ম কমিশনার পরিচয় দিয়ে সে ঠিক কত টাকার প্রতারণা করেছিল, ভুয়ো ভ্যাকসিন বিক্রি করে দেবাঞ্জন ঠিক কত টাকা আয় করেছিল, আরও কারা যুক্ত ছিল এই চক্রের সঙ্গে, বিপুল টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হত, কীভাবে সেই টাকা খরচ করা হত এসব প্রশ্নেরই উত্তর পেতে চাইছে ইডি। সূত্রের খবর, দেবাঞ্জন দেব সম্পর্কে নানা নথি পুলিশের কাছে চেয়েছিল ইডি। মূলত জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থের নিরিখে তদন্তভার নেওয়ার উদ্যোগ নেয় ইডিকে। গত ৮ই জুলাই ইডির সদর দফতরে একটি মিটিংও হয়।এরপরই কার্যত আরও নড়েচড়ে বসেছে ইডি।