থিওরিতে ৬০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছেন ছাত্রী। অথচ প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন কেপিসি মেডিক্যালের ছাত্রী।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় দক্ষিণ শহরতলীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, এবছর কড়াকড়ির কারণে বাইরের চিকিৎসকরা পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করেছেন। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের ফেল করার পিছনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও ভূমিকা নেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এমডি মেডিসিনের ওই ছাত্রী থিওরি পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। অথচ প্র্যাকটিক্যালে তিনি অকৃতকার্য হন। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী। তাছাড়া আরও ২ জন ছাত্রীকে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ একাংশ পড়ুয়াদের।
ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের অভিযোগ, তাঁদের বান্ধবী থিওরি পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন অথচ প্র্যাকটিক্যালে তিনি অকৃতকার্য হয়েছেন। সে কারণেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
তবে ওই ছাত্রীকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেওয়ার তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাপাতালের সিইও ইন্দ্রানি ঘোষ এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, যদি পড়ুয়ারা মনে করেন যে, পড়াশোনা না করেই পরীক্ষায় পাশ করে যাবেন, তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই। কারণ, পরীক্ষার ব্যাপারটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেখে না। সে ক্ষেত্রে ওই ছাত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। এবারে কড়াকড়ির কারণে বাইরে থেকে চিকিৎসকরা এসে পড়ুয়াদের প্র্যাকটিক্যালের মূল্যায়ন করেছেন। এখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি আরও জানান, অকৃতকার্য পড়ুয়াদের জানানো হয়েছিল যে, তাঁরা যেন স্বাস্থ্যভবনে গিয়ে রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেন।