মঙ্গলবারে কলকাতায় বিজেপির আইটি সেলের এক বৈঠকে সিএএ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সময় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, 'সিএএ দেশের আইন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে এই নিয়ে বিভ্রান্ত করছেন। আমাদের দল সিএএ কার্যকর করতে বদ্ধপরিকর।' এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে এবার সিএএ ইস্যুতে অমিত শাহের সেই দাবির পালটা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
উত্তর ২৪ পরগনার চাকলার সভা থেকে মমতা বলেন, নাগরিকত্ব নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। আপনারা সবাই নাগরিক। নাগরিক না হলে রেশন পান কী করে! নাগরিক না হলে প্যান কার্ড থাকে কী করে! কার্যত নাম না করে সিএএ ইস্যুতে অমিত শাহের বক্তব্যের জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
পাশাপাশি সম্প্রীতির বার্তাও দেন মমতা। তিনি বলেন, রক্ত আমাদের জীবন বাঁচায়। রক্তে কোনও ধর্মের নাম উল্লেখ করা থাকে না। ধর্ম মানবতার নাম, ভালোবাসার নাম। ধর্ম মানে ভাগাভাগি নয়। ভোটের সময় ধর্ম নিয়ে কথা বলব আর সারা বছর শোষন করব এটা তো হতে পারে না।
এদিকে ২০১৯সালে লোকসভা ভোটের আগে এই সিএএ ইস্যুতেই বিরাট আশ্বাস দিয়েছিলেন অমিত শাহ। উত্তরবঙ্গের একের পর এক সভায় তিনি এনিয়ে সুর চড়ান। তারপর গঙ্গা দিয়ে, তোর্ষা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রতিবার ভোট এলেই ওঠে সেই নাগরিকত্ব আইনের প্রসঙ্গ।
বাংলার মতুয়া ভোটের একটা বড় অংশ বিজেপির ঝুলিতে এসেছিল এই সিএএ টোপের জেরেই। উত্তরবঙ্গ সহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতেও বিগতদিনে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। এই আবহে বিজেপির ঘরোয়া বৈঠকে সিএএ নিয়ে আবার বড় আশ্বাস দিয়েছিলেন শাহ। বৈঠকের পর বিজেপির তরফ থেকে শাহের বক্তব্যের অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। তাতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'বাংলায় বিজেপি সরকার গঠনের জন্য কাজ করতে হবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে। বাংলায় বিজেপি সরকারের অর্থ হবে গরু পাচার রুখে দেওয়া, সিএএ কার্যকর করা।'