অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁকে ভরতি করানো হল এসএসকেএমে। মঙ্গলবার মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে এনে ভরতি করা হয়। যদিও এদিন সকালেই প্রেসিডেন্সি জেলে সেখানকার নিজস্ব চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায়, তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে এনে ভরতি করানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত থেকে কিছুই খাননি সুব্রতবাবু। এমনকী, এদিন সকালে চা-জল ছাড়া অন্য কোনও খাবার মুখে তোলেননি। গতকালই সুব্রতবাবুর পরিবারের তরফে সিবিআইয়ের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল যে, তাঁকে জেলে নয়, হাসপাতালে রাখা হয়। কারণ, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নেই। সেই আবেদন রাখা না হলেও রাতেই জেলরক্ষীদের মারফতই জেলের ভিতর ওষুধ পৌঁছয় তাঁর কাছে।
এদিন ভোরে সুব্রতবাবুকে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয়েছিল, তবে সেই সময় শারীরিক পরীক্ষা না করেই জেলে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। পরে প্রেসিডেন্সি জেলের নিজস্ব চিকিৎসকেরা তাঁকে চেকআপ করেন। কিন্তু প্রেশার লো হয়ে যাওয়ায়, পরে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
এরপরেই বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশের গাড়িতে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রাজ্যের এই বর্ষীয়াণ মন্ত্রীকে। তারপর তাঁকে উডবার্ন ব্লকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখছেন। এখনও সেখানেই রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন সুব্রতবাবু। কারণ, গতকাল থেকেই তাঁকে শারীরিক ও মানসিক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। এই অবস্থায় তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন। তাই আপাতত দু’দিন সুব্রতকে হাসপাতালে নজরদারিতে রাখা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে।
শরীরিকর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে জেলের বদলেহাসপাতালে রাখার আবেদন জানালেন তাঁর পরিবার।সোমবার সিবিআইয়ের কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অবশ্য সুব্রতবাবুর পরিবারের করা এই আবেদন নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তারা শুধু জানিয়েছেন, ধৃতদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।