সন্ধ্যা নামতেই নোয়াপাড়া মেট্রো কারশেডে নেমে আসছে আতঙ্ক। সাধারণত রাতের দিকেই মেট্রো কারশেডে নান ধরনের কাজ চলে। কিন্তু এই রাতেই সাপের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে মেট্রো কর্মীদের। ইতিমধ্যে বিষয়টি মেট্রো কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। সাপ ধরার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
দুদিন আগেই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক কর্মী কাজ করতে স্টোরে ঢুকে আঁতকে ওঠেন। টুল বক্সের ওপর কুণ্ডলী পাকানো কিছু একটা শুয়ে থাকতে দেখেন ওই কর্মী। এরপর চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন ওই কর্মী। জানা যায়, কুণ্ডলী পাকানো ওই বস্তুটি চন্দ্রবোড়া সাপ ছাড়া আর কিছু নয়। শুধু একদিনই নয়, মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিষধর বিভিন্ন সাপকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। এরফলে সন্ধ্যা নামতে কাজ করতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে মেট্রো কর্মীদের।
নোয়াপাড়া কারশেডটি অন্যতম বড় কারশেড। রাতের দিকে এই কারশেডে একদিকে যেমন মেট্রো রেক পরীক্ষার কাজ হয়, অন্যদিকে তেমনি মেট্রোর বিভিন্ন যন্ত্রাংশও পরীক্ষা করা হয়। সারাদিন ধরেই চলে ব্যস্ততা। গত দুমাস ধরে যেভাবে এই নোয়াপাড়া কারশেড এলাকায় সাপের আতঙ্ক শুরু হয়েছে, তাতে কাজ করতে খুবই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে মেট্রো কর্মীদের। তবে এই বিষয়ে মেট্রো রেলের জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানান, ‘সাপ ঘোরাফেরা করছে শুনেছি। মেট্রো কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নজরে রাখা হচ্ছে। কারশেড কন্ট্রোলারদের সঙ্গে কথা বলছি। প্রয়োজনে বন দফতরের সঙ্গেও কথা বলা হবে।’