দশ দিন থমকে থাকার পর গোটা পশ্চিমবঙ্গ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিল মৌসুমি বায়ু। শনিবার আবহাওয়া দফতরের তরফে এমনই জাননো হয়েছে। সঙ্গে পূর্বাভাসে বলা হয়ে, পশ্চিমভারতের ওপর অবস্থিত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জন্য আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার বিশাল পতনের সম্ভাবনা নেই। তবে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কাটলেই টের পাওয়া যাবে শীতের আমেজ।
গত ১১ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গে মৌসুমি বায়ু প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথম দিন পশ্চিমের কিছু জেলা থেকে প্রত্যাবর্তন ঘটে মৌসুমি বায়ুর। পরদিন ১২ অক্টোবর প্রায় গোটা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় নেয় বর্ষা। শুধুমাত্র উপকূল লাগোয়া কয়েকটি জেলায় থেকে যায় মৌসুমি বায়ুর প্রভাব। কিন্তু পুজোর মুখে বঙ্গোপসাগরে পর পর ২টি নিম্নচাপের জেরে থমকে যায় বর্ষার প্রত্যাবর্তন। সেই থেকে টানা দশ দিন একই যায়গায় থমকে ছিল মৌসুমি বায়ুর উত্তর সীমা।
শনিবার আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার অবশিষ্টাংশ, উত্তরপূর্ব ভারতের বাকি অংশ ও গোটা বাংলাদেশ থেকে সরে গিয়েছে মৌসুমি বায়ু। মৌসুমি বায়ু সরে গিয়েছে গোয়া থেকেও। বর্তমানে শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারতের চার রাজ্যে রয়েছে এর প্রভাব।
পূর্বাভাস অনুসারে মৌসুমি বায়ু সরলেও পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে আপাতত তাপমাত্রার বিশাল পতন হবে না। তবে পশ্চিমা জেট বাতাস বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তর পর্যন্ত নেমে পড়ায় ঝঞ্ঝা কাটলেই টের পাওয়া যাবে শীত।