প্রতিবছর কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের জন্য রাজ্যকে অর্থ সরবরাহ করে থাকে কেন্দ্র। সেই টাকা খরচের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়। গত ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বেশ কিছু টাকা খরচ করতে পারেনি রাজ্য। তাই ওই সমস্ত টাকা খরচ করার জন্য নির্দেশিকা জারি করল রাজ্যের অর্থ দফতর দফতর। গত ৭ এপ্রিল এই নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের যে অর্থ খরচ করা যায়নি তা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বেতনের জন্য খরচ করতে হবে। অন্য কোনও খাতে এই অর্থ খরচ করা যাবে না বলে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে অর্থ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে।
প্রসঙ্গত, বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্প রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কেন্দ্রীয় সরকারের । ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রভৃতি একাধিক প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রের। এসমস্ত প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে প্রতিবছর টাকা পেয়ে থাকে রাজ্য। যদিও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যের বঞ্চনার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অর্থ না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। অর্থ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের বেতন বাবদ যে অর্থ খরচ করা যায়নি তা খরচ করতে হবে।
নিয়ম অনুযায়ী, আগে কত পরিমাণ অর্থ থেকে গিয়েছে বা করা সম্ভব হয়নি তা কেন্দ্রকে জানাতে হয়। বা সেই অর্থ অন্য কোথাও খরচ করা যাবে কিনা তাও কেন্দ্রকে জানাতে হয়। ফলে সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কাছে বিষয়টি জানানোর পর এই অর্থ খরচ নিয়ে রাজ্যের অর্থ দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কর্মচারী ফেডারেশনের তরফে মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘অর্থ দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তার মানে নিশ্চয়ই তাদের কোনও পরিকল্পনা রয়েছে। আর যদি পরিকল্পনা করে অর্থ খরচ করে থাকে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার তা বরাদ্দ করতে বাধ্য।’