রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে রায় সেটাকে চ্যালেঞ্জ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টের রায়কে শ্রদ্ধা করে। তাই চ্যালেঞ্জ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাল্টা জবাব দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (কমিউনিকেশন) জয়রাম রমেশ। আসলে নরেন্দ্র মোদী রামমন্দির নিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধেছেন। তারই জবাব দিলেন জয়রাম। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে রামমন্দির ইস্যুতে কংগ্রেসকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশের ধার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির নির্বাচনী সভায় মোদী বলেন, ‘কংগ্রেসের লক্ষ্য, বাবরি মসজিদের খোলা তালা এনে রামমন্দিরে ঝুলিয়ে দেওয়া।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে যাবে আদালতে। এমন কথাই বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। অথচ আশির দশকে রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে ফৈজাবাদ জেলা আদালতের নির্দেশ মেনে অযোধ্যার বাবরি মসজিদের তালা খুলে রামলালার পুজোর ব্যবস্থা করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। পরবর্তী সময়ে রামমন্দির আন্দোলন ওই ঘটনার রেশ বলেই মনে করেন অনেকে। এখন এই রামমন্দির লোকসভা নির্বাচনের ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেটাকে লালনপালন করেছে বিজেপি। অথচ সেটা ভাবতেও পারেননি অনেকে।
আরও পড়ুন: খিদের জেরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ভেঙে ঢুকল গজরাজ, সাবড়ে দিল মিড–ডে মিলের খাবার
এখন কংগ্রেসকে আক্রমণ করে রামমন্দির নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতি করেছেন প্রধানমন্ত্রী বলে অভিযোগ। তারই জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অযোধ্যার রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করার কোনও পরিকল্পনা নেই কংগ্রেসের। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টের রায়কে কংগ্রেস সম্মান ও শ্রদ্ধা করে। বিজেপিই প্রথম আদালতের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। আর পরে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা মেনে নেয়। ১৯৯২ সালে করসেবকদের হামলায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরেও আদালতের নির্দেশে চালু ছিল ক্যানভাসের ছাউনির অস্থায়ী কাঠামোয় রামলালার পুজোপাঠ।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করার পরে অযোধ্যার সেই বিতর্কিত জমিতে নির্মিত হয় রামমন্দির। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি হয়েছে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। আর মধ্যপ্রদেশের ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেস যাতে বাবরি মসজিদের তালা এনে রামমন্দিরে ঝোলাতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতেই বিজেপিকে ৪০০ আসনে জেতাতে হবে।’ পাল্টা জবাবে জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, ‘প্রধানমন্ত্রী মিথ্যার মহামারী ছড়াচ্ছেন। তাঁর সমগ্র রাজনৈতিক জীবন ধ্বনিত করা হয় অসত্যমেব জয়তে।’