আজ, সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এমসিএইচ বিল্ডিংয়ে বিধ্বংসী আগুন লাগল। হাসপাতালের চারতলায় আর্ট সেন্টারে হেমাটোলজির গবেষণাগারে আগুন লেগেছে বলে খবর মিলেছে। সেখানে আগুন নেভাতে ইতিমধ্যেই অকুস্থলে পৌঁছেছে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুন এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। গবেষণাগারে যেহেতু কোনও রোগী থাকে না, তাই আগুন লাগার পর কাউকে সরাতে হয়নি। তবে এই আগুন লাগার খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে বেশ কয়েকজন রোগী ছুটোছুটি শুরু করেন। তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। দমকল আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছে।
এদিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। এবার হাসপাতালের ১ নম্বর গেটের কাছে হেমাটোলজি বিল্ডিংয়ের দোতলার ল্যাবরেটরিতে আগুন লেগে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন দ্রুততার সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ করছে। তবে ওই বিল্ডিংয়ে কোনও রোগী নেই। এই বিষয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার অঞ্জন অধিকারী জানান, হাসপাতালের ল্যাবে এই আগুন লেগেছে। সেখানে অবশ্য কেউ ছিলেন না। তাই রোগীদের অন্যত্র সরাতে হয়নি। আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বাকি কাজ চলছে।
অন্যদিকে দমকল সূত্রে খবর, কেমন করে আগুন লেগেছে সেটা এখনও বোঝা যায়নি। তবে আগুন নেভানোর পর তা স্পষ্ট হবে। এখন আগুন নেভানোর শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। এখানে রোগী না থাকায় কোনও হতাহতের খবর নেই। এখানে শর্ট সার্কিটের জেরে আগুন লেগেছে নাকি দাহ্য বস্তুর জন্য আগুন লেগেছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সময়মতো আগুন নেভাতে উদ্যোগ না নিলে এটা ভয়াবহ আকার ধারণ করত। আগুনের উৎসস্থল খোঁজা হচ্ছে। এখানে শহর এবং জেলার বহু রোগী চিকিৎসার জন্য আসে। ফলে ভিড় থাকে সবসময়।
আরও পড়ুন: আর বাড়ির খাবার খেতে পারবেন না মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়, এবার মিলবে জেলের খানা
এছাড়া আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল বিভাগ। সেখানে গবেষণাগার থাকায় অনেক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রয়েছে। সেখান থেকেই আগুন লেগেছে বলে দমকলের প্রাথমিক অনুমান। তাই সেগুলির সবটা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া কালীপুজো থাকায় এখন একটু রোগীর চাপ কম। তা না হলে আতঙ্কে আরও কেউ কি কাণ্ড ঘটাত তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে অনেক বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বলে মনে করা হচ্ছে।