এদিন উদয়নের মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, ‘ও (উদয়ন) পাগলের মতো কী বকেছে জানা নেই। চিরকুটে কখনও লোক ঢোকানো যায় না। অন্তত একটা অ্যাপলিকেশন লাগে। আগে যখন নিয়োগবিধি ছিল না তখন স্কুলগুলোয় দেখেছি পরিচালন সমিতি শিক্ষক নির্বাচন করতেন।
ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব ছবি।
বাবার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে নিজের দলেরই আক্রমণের মুখে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। শনিবার বিকেলে তাঁকে পাগল বললেন তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষনেতা ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে বললেন, চিরকুটে লোক ঢোকানো যায় না। ফিরহাদের এই অবস্থানে বামেদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তোলা নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ভোঁতা হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন উদয়নের মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, ‘ও (উদয়ন) পাগলের মতো কী বকেছে জানা নেই। চিরকুটে কখনও লোক ঢোকানো যায় না। অন্তত একটা অ্যাপলিকেশন লাগে। আগে যখন নিয়োগবিধি ছিল না তখন স্কুলগুলোয় দেখেছি পরিচালন সমিতি শিক্ষক নির্বাচন করতেন। প্রধান শিক্ষকের তৈরি করা তিন জনের কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিত। এসব সত্তরের দশকে হত। পৌরসভাতেও স্থানীয় লোক নেওয়া হত। আমি যখন প্রথম প্রথম কাউন্সিলর হয়েছি তখন অনেকে আমাকে বলত, করপোরেশনে ছেলেটাকে ঢুকিয়ে দেও না অনেক দিন বসে আছে। এরকম একটা মানসিকতা আছে। যবে থেকে নিয়োগবিধি তৈরি হল তার পর থেকে এই সুবিধা আর কেউ পায়নি’।
শনিবার বাবা কমল গুহর বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন উদয়ন। বাম সরকারের কৃষিমন্ত্রী ছিলেন কমলবাবু। কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও প্রয়াত এই ফরওয়ার্ড ব্লক নেতাকে স্মরণ করে মানুষ। এহেন বাবার বিরুদ্ধে শনিবার উদয়ন বলেন, ‘দলের স্বার্থে দুর্নীতি করেছেন কমল গুহ। বাবাকে বাঁচানোর জন্য কোনও কথা বলব না। বাবা সেই সময় অনেককে চাকরি করে দিয়েছেন। বাবার সামনে তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। বাবা সেই তালিকাকে এনডোর্স করেছিলেন। সেখানে তো যোগ্য ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আজ যাঁরা রাস্তায় বসে বলছেন যোগ্যদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, তাঁদের পূর্বসুরীরাই যোগ্যদের বঞ্চিত করে চাকরি দিয়ে গিয়েছেন।’