রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আবার অপমানিত হয়েছেন। তাও হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই। তাই সেই দুঃখ আর তিনি মনে চেপে রাখতে পারেননি। ফলে আবার টুইট–সিরিজ। আর তাতেই ফের নবান্ন–রাজভবন সংঘাত দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। গোয়া সফরে গিয়ে সেখানের সভায় রাজ্যপালকে ‘রাজভবনের রাজা’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই তিনি অপমানিতবোধ করেছেন। যার জেরেই আছড়ে পড়ল ধনখড়ের টুইট–ঝড়।
ঠিক কী লিখেছেন রাজ্যপাল? পরপর তিনটি টুইট করেছেন রাজ্যপাল। প্রথম টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘বিস্মিত! গত ১৬ ডিসেম্বর গোয়া সফরে গিয়ে এটা কী ধরনের শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ‘রাজভবনের এক রাজা’ এটা কী ধরনের শব্দবন্ধ! মুখ্যমন্ত্রী কি জানেন না, রাজ্যপালের পদ একটি সাংবিধানিক পদ এবং এই দায়িত্ব একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব!’ তিনি যে অপমানিত হয়েছেন এই টুইট থেকে তা স্পষ্ট।
দ্বিতীয় টুইটে জগদীপ ধনখড় লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করেছেন তা অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক। এই ধরনের মন্তব্য করে ওঁ কেবল অপমানই করেননি সাংবিধানিক পদমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন। এই ধরনের মন্তব্য সংবিধান বিরোধী।’ এবার তিনি সরাসরি বুঝিয়ে দিলেন তাঁকে অপমান করা হয়েছে।
তৃতীয় টুইটে তিনি সরাসরি ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে লিখেছেন, ‘এখানে ব্যক্তি ও আইনের কোনও বালাই নেই, রাষ্ট্রও সঠিকভাবে কাজ করছে না। সংবিধান সরকারকে শুদ্ধ করে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ক্রমাগত তা ভাঙছেন এবং সংবিধানের ১৬৭ ধারা লঙ্ঘন করছেন। আর সংবিধানের ১৬৬ ধারা অনুযায়ী, রাজনৈতিক আমলাতন্ত্র করা হচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী শাসনব্যবস্থার ব্যাপক উত্থান প্রয়োজন।’
বুধবার এই টুইট করেছেন রাজ্যপাল। এই ধরনের টুইট করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। প্রায় একমাস পেরতে চলা সেই গোয়া সফরের মন্তব্যকে হঠাৎ কেন টেনে আনলেন তিনি? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নতুন কোনও ঘটনা ঘটতে চলেছে বলেও মনে করা হচ্ছে। যদিও এই টুইটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রে রাজ্যপালকে বঙ্গশত্রু বলা হয়েছিল।