যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে চরমে উঠল সরকার-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব। সমাবর্তনকে বেআইনি ঘোষণা করা হতে পারে এবং এতে পড়ুয়ারা বিপাকে পড়বেন বলে রবিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপাল। শনিবার যাদবপুরের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বিশেষ সমাবর্তন স্থগিত করে দেন যেখানে বিশিষ্টদের ডিলিট ও ডিএসসসি দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যপালের।
রাজ্যপাল ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন, এই আশঙ্কায় অনুষ্ঠান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় কাউন্সিল। কিন্তু এতে অখুশি হন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে তিনি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে বেআইনি গণ্য করছেন বলে জানান ধনখড়।
রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে চিঠি লেখেন ধনখড়। তিনি বলেন যে তাঁর কথা না মানলে তার খারাপ ফল হতে পারে পড়ুয়াদের জন্য, যারা হয়তো বেআইনি সমাবর্তনে ডিগ্রি পান।
এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল ক্ষমতার পরিধি অতিক্রম করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আইনের ১৭ ধারার উল্লেখ করে রাজ্যপাল জানান যে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল ভুল করেছে। ১৭ ধারা অনুযায়ী যদি কোনও বিতর্ক থাকে কাউন্সিল আইন মোতাবেক কাজ করেছে কিনা, তাহলে আচার্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
উপাাচার্যকে রাজ্যপাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন চিঠিতে। সোমবার যাদবপুরের কোর্ট বৈঠকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি সেই বৈঠকে পৌরহিত্য করবেন। এতে বিতর্কের আঁচ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।