শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে আবার সেই চাকরি ছাড়তে হয়েছিল বিচারপতির নির্দেশ। বেতন বাবদ যে অর্থ তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার কাছ থেকে পেয়েছিলেন সেই টাকা ফেরত দিতে হয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন। সেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে ভগবানের সঙ্গে তুলনা করলেন ববিতা সরকার।
তিনি এই সময় ডিজিটালকে বলেন,'একবার যাঁকে ভগবানের আসনে বসানো হয় তাঁকে তো আর নামানো যায় না। তিনি সৎ, নির্ভীক এবং নিরপেক্ষ একজন মানুষ। সত্যকে সত্য এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলার সাহস রাখেন তিনি। তাঁকে কেউ প্রভাবিত করতে পারে না। এই জন্যই তাঁকে সম্মান করি।'
(পড়তে পারেন। বিধানসভায় তাঁদের দাবি ব্রাত্য কেন? MLA হোস্টেলের সামনে বিক্ষোভ SLST প্রার্থীদের)
তবে তাঁর ক্ষোভ মূলত স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে। ববিতা সরকার বলেন,'আমার যদি কিছু ভুল থাকে তবে তা কমিশনের ভুল। কমিশন পুরো প্যানেলটাকে দুর্নীতিতে ভরিয়েছে। আজকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের যে তালিকা বেরিয়েছে সেখানেও দেখা যাচ্ছে প্যানেলে নেই এই রকম অনেকেই ২০১৮ সাল থেকে চাকরি করছে।'
তিনি আরও বলেন,' আমার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে মানলাম। কিন্তু, প্যানেলে যাঁদের নামই নেই তাঁরা কী করে চাকরি করছেন?' ববিতার আশা, তিনি আগামী দিনে সুবিচার পাবেন। তাঁর দাবি তিনি সঠিক পদ্ধতিতে পাশ করে আইনত চাকরি পেয়েছিলেন।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে, রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর জায়গায় শিক্ষিকা হিসাবে হাই স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। এর আগে বেতন বাবদ যে অর্থ অঙ্কিতা পেয়েছিলেন তা ববিতাকে মিটিয়ে দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশে তিনি স্কুল পড়ানোও শুরু করেন।
এরই মধ্যে অন্য একটি মামলায় সামনে আসে ববিতার নম্বর সম্বন্ধে সঠিক তথ্য দেয়নি স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রার্থী অনামিকা রায়ের থেকে দুই নম্বর তিনি কম পেয়েছেন। সেই মামলায় ববিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার জায়গায় শিলিগুড়ির বাসিন্দা অনামিকা রায়কে চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি। অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ববিতা।