বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > ‘‌দলে কোনও অসন্তোষ–বিদ্রোহ নেই’‌, শান্তনু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেও দাবি সুকান্তর

‘‌দলে কোনও অসন্তোষ–বিদ্রোহ নেই’‌, শান্তনু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেও দাবি সুকান্তর

সুকান্ত মজুমদার।

যদিও দলের অন্দরে কোনও অসন্তোষ নেই বলেই জানাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বিজেপিতে এখন হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়ার হিড়িক লেগেছে। দলের নেতা–বিধায়করা অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করছেন। এবার বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এরপরই বিজেপিতে মতুয়া ভাঙনের বিষয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। শান্তনু ঠাকুরের এই ঘটনার পর দলের অন্দরে বিদ্রোহ আরও বাড়ে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল। যদিও দলের অন্দরে কোনও অসন্তোষ নেই বলেই জানাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত?‌ এই বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‌দলে কোনও অসন্তোষ–বিদ্রোহ নেই। তবে বড়দের উচিত যাঁরা বয়সে নবীন, দলে জায়গা পেয়েছেন তাদের সাহায্য করা। চিরকাল তাই হয়ে এসেছে। সল্টলেকে যে বৈঠক হয়েছে তা নিয়ে আমার কিছু জানা নেই। সাংগঠনিক কথা বা চা খেতে গিয়ে কথা বলা কোনও দল বিরোধী কাজ নয়। মথুয়াদের রাজ্য কমিটিতে জায়গা হবে। বাংলার বিভিন্ন সমাজের বিভিন্ন মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।’‌

তবে এদিন তিনি করোনাভাইরাস নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন। সুকান্ত মজুমদার জানান, চলচ্চিত্র উৎসব কেন করছেন সেটা রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত। তবে চলচ্চিত্র উৎসবের চাইতে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। পাশাপাশি ত্রিপুরা নিয়েও মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘‌মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে বাংলার দিকে তাকান। তারপরে ত্রিপুরার দিকে তাকাবেন। এখানে উৎসবের পর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বাবুল সুপ্রিয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। রাজ্যের মন্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এমনকী অনেক পুলিশ এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। সেদিকে নজর দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।’‌ ত্রিপুরাকে করোনাভাইরাস হাব বলার প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য সুকান্তর।

সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। এই বিষয়ে এবার বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‌চক্ষু লজ্জার খাতিরে ভারত সেবাশ্রম সংঘকে উৎসবের অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে আমি তার সঙ্গে একমত। ২৫ ডিসেম্বর থেকেই রাজ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে।’‌

বন্ধ করুন