নয়াদিল্লিতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয় বলে সূত্রের খবর। সেই বৈঠকে সুকান্তকে প্রথম কাজ হিসাবে ‘দলের ভাঙন রুখতে নজর দিন’ বলেছেন শাহ। এই নিয়ে কোনও কথা না বললেও দলের এক নেতা জানান, সুকান্তর সঙ্গে বৈঠকে বাংলায় বিজেপির ভাঙনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী ভাঙন রুখতে পারছেন না। তাই সুকান্তকেই এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নেতা–কর্মী ভাঙন থেকে শুরু করে বিধায়ক ভাঙনও দেখা গিয়েছে। এমনকী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় নড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের পিলার। দু’দিনের প্রথম নয়াদিল্লি সফর সেরে বুধবার রাজ্যে ফিরেছেন সুকান্ত। বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত নয়াদিল্লিতে নিজের নর্থ অ্যাভিনিউয়ের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিটি সাক্ষাৎকেই ‘সৌজন্য’ বলে দাবি করেছেন।
সূত্রের খবর, জেপি নড্ডার সঙ্গে সুকান্তর বৈঠকেই দলের ভাঙন নিয়ে কথা হয়। সেখানে একটি তালিকার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। ওই তালিকায় আরও কারা দলত্যাগ করতে পারেন তাঁদের নাম রয়েছে। কিন্তু নড্ডা তাঁকে বলেন, ভাঙন ঠেকাতে কৌশল নিতে হবে। ভাঙন ধরবে জেনে বসে থাকলে চলবে না। বিজেপির তিন বিধায়কও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে। আর যাতে সংখ্যাটি না বাড়ে সেই বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য সুকান্তকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সুকান্ত মজুমদার রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। তাই সুকান্তকে বলতে শোনা যায়, যাঁরা চলে গিয়েছেন তাঁরা ফিরে আসতে চাইলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আর বিজেপির আদর্শ নিয়ে কেউ আসতে চাইলে তাঁকে স্বাগত। বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে আসলে চলবে না।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? তিনি বলেন, ‘বিজেপির নীতি–আদর্শে যাঁরা বিশ্বাস করেন তাঁদের ফিরে আসার কথা বলব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্র তা দেখে যাঁরা আকৃষ্ট হবেন, যা পণ্ডিত দীনদয়ালের অক্লান্ত মানবদর্শন, তাতে আকৃষ্ট হয়ে কেউ আসতে চাইলে আমরা তাঁদের স্বাগত জানাব। ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে যারা আসতে চান, তাঁদের আমরা চাই না।’