যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় এবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে এই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন। যাদবপুরের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু ঘটনায় প্রথম থেকেই খুনের দাবি করে আসছে পরিবার। সেক্ষেত্রে হস্টেলে কোনও সিসিটিভি ছিল কিনা বা না থাকলেও কেন সিসিটিভি লাগানো হয়নি, সে বিষয়ে রিপোর্টে জানাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রাক্তনীরা হোস্টেলে দাদাগিরি করে’, যাদবপুর কাণ্ডে সরব ‘খোকাবাবু’-র অরিত্র
ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার দিন হস্টেলের একটি ঘরে কাউন্সিলিং করা হয়েছিল স্বপ্নদীপের। সেখানে স্বপ্নদীপ ছাড়াও কয়েকজন ছাত্র উপস্থিত ছিল। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল সৌরভ। এমনকী একদল পড়ুয়া স্বপ্নদীপকে লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্য করেছিল। সময় যাতে গড়িয়েছে, স্বপ্নদীপকে লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্য এবং অত্যাচার বেড়েছে। স্বপ্নদীপকে যে কয়েকজন ছাত্র অশালীন মন্তব্য করেছিল, তাতে সৌরভও ছিল বলে জানতে পারছেন তদন্তকারীরা। এছাড়াও তিনদিনে দু'বার ‘ইন্ট্রো’ করানো হয়েছিল স্বপ্নদীপকে। কী এমন ঘটেছিল যে দু'বার পরিচয় করানোর দরকার হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, এর নেতৃত্বও ছিল ছিল সৌরভ। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়াও, স্বপ্নদীপের তিনজন রুমমেটকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ছয় বছর ধরে হস্টেলে রয়েছে সৌরভ। ২০২২ সালে অঙ্কে এমএসসি পাস করেছিল সৌরভ। তারপরও এক বছর ধরে সৌরভ অতিথি হিসেবে রয়েছে। সেক্ষেত্রে পুলিশ মনে করছে, দীর্ঘদিন থাকার ফলে ওই হস্টেলে তার ভালো প্রভাব ছিল। যদিও ঘটনার দিন সৌরভের সঙ্গে আরও কারা কারা ছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
তারইমধ্যে মানবাধিকার কমিশন আগামী ২৪ অগস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে। স ক্ষেত্রে রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হলে মানবাধিকার কমিশন তদন্ত শুরু করব বলে জানিয়েছে। যদিও এই ঘটনায় সৌরভের মা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। তাঁকে স্বপ্নদ্বীপের বাবা এবং মা ফাঁসিয়েছে।