Jiban Saha: হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর জীবনের, ইডির কাছে অভিযোগ বিজেপির

মঙ্গলবার বিজেপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিধাননগরে ইডির অফিসে যান। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতা মনোজ কুমার বর্মন, সমরজিৎ দত্ত প্রমুখ। বিজেপির দাবি, জীবন সাহার আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে।

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে তৃণমূলকে আরও অস্বস্তিতে ফেলে দিল বিজেপি। এবার কলকাতা পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জীবন সাহার বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগ তুলল গেরুয়া শিবির। এর ভিত্তিতে বিজেপির তরফে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির কাছে একটি অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাতে জীবনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছে পদ্ম শিবির।

মঙ্গলবার বিজেপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিধাননগরে ইডির অফিসে যান। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন উত্তর কলকাতার বিজেপি নেতা মনোজ কুমার বর্মন, সমরজিৎ দত্ত প্রমুখ। বিজেপির দাবি, জীবন সাহার আয় বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। সেই সংক্রান্ত নথি তারা এদিন ইডির আধিকারিকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। 

বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, জীবন সাহা এবং তাঁর স্ত্রী নামে মোট ২৬ টি জমির প্লট রয়েছে। তাছাড়া, মেট্রোপলিটন হাউজিং কমপ্লেক্সের মধ্যে একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট করে তিনি বেআইনিভাবে আয় করছেন। প্রসঙ্গত, এই হাইজে হাউসিংয়ের মধ্যেই দুর্নীতিতে নাম থাকা শঙ্কর আঢ্য এবং বনগাঁও লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাসের সম্পত্তি রয়েছে। দুর্নীতির মামলায় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর বর্তমানে ইডির হেফাজতে রয়েছেন। বিজেপির দাবি, জীবন যে  নির্বাচনী হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তার সঙ্গে বর্তমান সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হোক। তাদের দাবি, গত কয়েক বছরের মধ্যে তাঁর সম্পত্তি অনেক বেড়েছে।

প্রসঙ্গত, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডটি কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে। এখানকার তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কেন্দ্রের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সম্প্রতি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেই সুযোগকে বিজেপি কাজে লাগাতে চাইছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাছাড়া,

বর্তমানে তৃণমূলের অস্থায়ী সদর দফতর  জীবনের ওয়ার্ডেই আছে। এই অবস্থায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জীবন সাহা। তিনি দাবি করেছেন, তিনি অনেক ছোট থেকেই ব্যবসা করেন। তাঁর কাছে সব হিসেব রয়েছে। সেই সবই সরকারকে দিতে হয়। তাছাড়া, তিনি দাবি করেছেন, বিজেপি এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ইডির কাছে গিয়েছিল। তিনি জানান, ইডি সবকিছু খতিয়ে দেখুক। তাহলে সত্যি প্রমাণ হবে। জীবন সাহা জানিয়েছেন, তিনি তদন্তে সব রকমভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সাহায্য করবেন।