ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘বাড়িতে বসে থাকবেন না। নিজের ভোটটা দেবেন। দিদি তো জিতেই যাবে। এই ভেবে বাড়িতে বসে থাকবেন না।’ এই আশঙ্কাই সকালে সত্যি হল। সকাল থেকে ভোটারদের লাইন কার্যত ফাঁকা দেখা গেল। তারপরই রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে দু’টি টুইট করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, উন্নয়নের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনেও নালিশ ঠোকা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি টুইটই করতে পারেন না। এই কাজ তাঁর নয়। তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলটি কেউ হ্যাক করে থাকতে পারে।
এই অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রী করার পর আরও শোরগোল পড়ে যায়। এই বিষয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি টুইট করতেই জানি না। কারা করেছে এসব আমার জানা নেই। পুলিশকে গিয়ে আমার মোবাইল ফোনটা দিয়ে দিচ্ছি। অভিযোগও জানাব। ওরাই খুঁজে বের করবে কে এমন ভুয়ো টুইট করেছে আমার নামে।’
এদিকে ভবানীপুরে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রায় ৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। তাতে একটু চিন্তা বেড়েছে শাসকদলের বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিমের নামে দু’টি টুইট সামনে আসে। তাতে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য বার্তা রয়েছে। ফিরহাদ হাকিমের টুইটটি তাঁর ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে হলেও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টটিতে ‘নীল টিক’ নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।
অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘উন্নয়নের পক্ষে ভোট চাইছেন। চরম অসহায় অবস্থা। ওদের তো চিন্তা রয়েছে। এক যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যান। আর দুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মার্জিন যদি কমে যায়, তা হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের কেটে উড়িয়ে দেবে।’ এই বিষয়ে সিপিআইএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস বলেন, ‘ভবানীপুরের উপনির্বাচন বুঝিয়ে দিচ্ছে জয়ী প্রার্থীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে যখন নতুন করে ভোট করানো হচ্ছে, মানুষও ভোট না দিয়ে নিজের প্রতিবাদটা জানাচ্ছেন।’