ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। শান্তিরক্ষায় রাজ্য সরকারের তরফে বারবার আবেদন জানালেও কোনও প্রভাব পড়েনি। তাই হিংসা রুখতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এবার কড়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার।উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও হাওড়ায় পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এছাড়া, দুই ২৪ পরগনার বসিরহাট, বারাসত, বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমাতেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের নামে শুক্রবার থেকে তাণ্ডব শুরু হয়। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, হাওড়া, বীরভূম, দুই পরগনায় মূলত সেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়বাস-ট্রেন-স্টেশনে। উত্তরোত্তর তা বাড়তে থাকে। আজ সকাল থেকেই বাড়তে হিংসা। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চলে। শান্তিরক্ষার আবেদনেও কোনও কাজ হয়নি।
তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে চারটি জেলাতে পুরোপুরি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বসিরহাট, বারাসত, বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমাতেও একইভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। রাজ্যের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, কিছু বহিরাগত ও সাম্প্রদায়িক শক্তি উস্কানি দিয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় হিংসা ছড়ানোর চক্রান্ত চলছে। তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, শুধুমাত্র স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে।ওই এলাকাগুলিতেই মূলত হিংসা ছড়াচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছেও বলে খবর। তাই কোনওরকম ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।