অতীতে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বার বার অশান্ত হয়েছে পাহাড়। রক্ত ঝড়েছে। ধর্মঘটে জেরবার হয়েছে দার্জিলিং। সেই দার্জিলিং পাহাড় থেকে এদিন অনেকেই ধর্মতলায় ২১শের সমাবেশে এসেছিলেন। কাঠফাটা রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে ঠায় সভা শোনেন তাঁরা। হাতে ঘাসফুল আঁকা পতাকা। নেত্রীকে ভালোবেসে এই সভায় এসেছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পাহাড়ের জন্য় যে উন্নয়ন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছেন তাঁতে তাঁরা কৃতজ্ঞ। তাঁদের দাবি পাহাড়ে যেন শান্তি বজায় থাকে। উন্নয়ন হয়। পর্যটনের প্রসার হয়। কিন্তু গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে কী বলবেন?
উত্তর দিতে এক মুহূর্ত দেরি করেননি বিজনবাড়ির তৃণমূল কর্মী সমব্রিনা গুরুং সহ অন্য়ান্যরা। তাঁরা বলেন, কোনও দলীয়ভাবে বলছি না। কিন্তু গোর্খাল্যান্ড আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। গোর্খাল্যান্ড আমাদের আবেগ। দার্জিলিংকে গোর্খাল্যান্ড করে দিলে মন্দ হয় না। তবে আমরা শান্তি চাই কিন্তু দিদি বিভাজন চান না। এটা আমরা বুঝি। তবে তিনি বর্তমানে যেভাবে পাহাড়ের উন্নয়ন করতে চাইছেন তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। পাহাড়ে বেকারত্ব দূর হোক, পর্যটনের উন্নয়ন হোক এটা আমরা চাই।
বিমল গুরুংয়ের প্রসঙ্গ আসতেই আর কথা বাড়াতে চান না তাঁরা। কালিম্পংয়ের একাধিক তৃণমূল কর্মীর দাবি, বিমল গুরুংয়ের প্রসঙ্গে আমরা কিছু বলব না। তিনি যা ভালো বুঝছেন তা করছেন। তবে পাহাড় বর্তমানে শান্ত আছে। এরকমই যেন থাকে দার্জিলিং।