বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Chaitali Tiwari: চৈতালি তিওয়ারির আগাম জামিন নাকচ কলকাতা হাইকোর্টে, কেন এমন আবেদন?
বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। আর সেটা আজ, বৃহস্পতিবার নাকচ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত। আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মানুষ মারা গিয়েছিল। এই কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যায় চৈতালির। বাড়িতে পুলিশ এসে খোঁজ পর্যন্ত করেছিল। নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি আগাম জামিনের আবেদন করেন। যা দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছে।
ঠিক কী ঘটেছিল আসানসোলে? ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। আসানসোলের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। এই দিনেই সরকার পড়ে যাবে এবং ধেড়ে ইঁদুর ধরা পড়বে বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। শুভেন্দু নিজের হাতে কিছু কম্বল বিতরণ করেছিলেন। তারপর ওই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে যান। কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যেতেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত হন অনেকে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালির। কারণ পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের জন্য কোনও লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয় আসানসোল উত্তর থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষিতে চৈতালি–সহ মোট তিনজন কাউন্সিলরের নামেও অভিযোগে দায়ের হয়েছে। তাই আগাম জামিন নিয়ে নিরাপদে থাকতে চেয়েছিলেন চৈতালি তিওয়ারি। যা পাওয়া গেল না।
আর কী জানা যাচ্ছে? থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই মামলা হয়। তার জেরে ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর জিতেন্দ্রর ফ্ল্যাটে গিয়ে নোটিশ দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তার পর থেকে স্বামী–স্ত্রীকে দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে তালা ঝুলতে দেখেছিল। গত ২২ ডিসেম্বর চৈতালি তিওয়ারির আবেদন মেনে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে চৈতালিকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা চৈতালির বিরুদ্ধে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলার মুখ খবর