প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য কমান্ড হাসপাতাল, অন্যদের চিকিৎসা করলে সমস্যা তৈরি হয়। চাপ বাড়ে। এই বক্তব্য জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল সেনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি হতে পারে।
প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতারির পর তাঁকে নিম্ন আদালতে পেশ করা হয়। নিম্ন আদালতের বিচারক নির্দেশ দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমান্ড হাসপাতাল মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করবে এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের চিকিৎসার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তাই করবেন।
বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মন্ত্রীর চিকিৎসা শুরু হয় কমান্ড হাসপাতালে। এর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসা কমান্ড হাসপাতালে করার জন্য আবেদন করে ইডি।
(পড়তে পারেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বালুকে পিছনের দরজা দিয়ে কম্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে গেল ইডি)
এই ভাবে প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত নয় এমন ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে গিয়ে আগামী দিনে নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতি আদালতের উপযুক্ত নির্দেশ পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কমান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, আগামী কাল হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
এর আগে বিষয়টি নিয়ে বার দুয়েক ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আর্জি জানায় কমান্ড হাসপাতাল। কিন্তু হাসপাতালে আর্জি খারিজ করে দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
শুনানি চলাকালীন এজলাসের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন বনমন্ত্রী। তাঁকে বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । বিভিন্ন পরীক্ষার নিরিক্ষার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপর দফায় দফায় জেরা শুরু করে ইডি। মন্ত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় কমান্ড হাসপাতালে । সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে সিজিওয় ফিরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সের পিছনের গেট দিয়ে বার করে নিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা। দেড় ঘণ্টা ধরে চলে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা।
আদালতের নির্দেশ রয়েছে একদিন অন্তর বালুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে ইডিকে। তাই আগামী কাল যদি মামলাটি আদালতে ওঠে, তবে কী নির্দেশ দেয় আদালত সেদিকে তাকিয়ে থাকবে ইডি।