শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থায় মোটা বিনিয়োগ কালীঘাটের কাকুর,অয়নের গাদা গাদা অ্যাকাউন্ট

দেখা যাচ্ছে সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগ। কুন্তলের সঙ্গে শান্তনু, তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতির যোগ। আবার শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থায় বিনিয়োগ করছেন কালীঘাটের কাকু। আবার সেই কালীঘাটের কাকু বলছেন, আমার সাহেব অভিষেক।

শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী সংস্থার সঙ্গে একেবারে আর্থিক লেনদেন ছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। সূত্রের খবর। সংগৃহীত ছবি

প্রথম থেকেই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করছেন কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। কিন্তু এবার ধীরে ধীরে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ছে। সূত্রের খবর, এবার দেখা যাচ্ছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সংস্থার সঙ্গে একেবারে আর্থিক লেনদেন ছিল সুজয়কৃষ্ণের। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থায় তিনি নাকি ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তবে এনিয়ে সুজয়কৃষ্ণের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে প্রিয়াঙ্কা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি নাকি শুধু সই করতেন। কোম্পানির কাজের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। তবে যে সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে প্রিয়াঙ্কার সেখানে ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন কালীঘাটের কাকু। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কালীঘাটের কাকু এত টাকা পাচ্ছিলেন কীভাবে? তবে সূত্রের খবর, আবাসনের একটি দোকানের অগ্রিম হিসাবে এই বিপুল টাকা দিয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ।

একেবারে মাকড়সার জাল। ইডির তদন্তে উঠে আসছে, দু দফায় এই ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। দেখা যাচ্ছে সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগ। কুন্তলের সঙ্গে শান্তনু, তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতির যোগ। আবার শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থায় বিনিয়োগ করছেন কালীঘাটের কাকু। আবার সেই কালীঘাটের কাকু বলছেন, আমার সাহেব অভিষেক।

অন্যদিকে শান্তনুর সঙ্গে যোগাযোগ অয়ন শীলের। তার বিপুল সম্পত্তি দেখে হতবাক তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিকে শান্তনুর সঙ্গে অয়নের কোন কোন ক্ষেত্রে লেনদেন হয়েছিল সেটাও দেখা হচ্ছে। আবার অয়নের যোগাযোগ টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে। আবার কুন্তল ও শান্তনু বসেছিলেন যুব তৃণমূলের একেবারে রাজ্য পর্যায়ের পদে। রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, অভিনেত্রী, প্রমোটার, পরিবারের সদস্য সব যেন দুর্নীতির চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।  সব মিলিয়ে জটিল চক্র। একে একে জট ছাড়াচ্ছে ইডি। কিন্তু আর কারা জড়িত তাদের সঙ্গে? সেটাই জানতে চাইছে বাংলা। 

এদিকে এর সঙ্গেই শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের ১০টি অ্য়াকাউন্টের হদিশ মিলেছে। সব মিলিয়ে অয়নের ৪২টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে।

এর আগে শান্তনুর ৩০টি অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করেছে ইডি। তবে অয়ন শীলের সঙ্গে শান্তনুর ঠিক কী ধরনের বোঝাপড়া ছিল সেটা খতিয়ে দেখছে ইডি। এদিকে শুধু কোম্পানি বা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নয়, হুগলিতে অয়নের পেট্রল পাম্পের নামেও অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তবে তদন্তে নেমে ইডি দেখতে পাচ্ছে নিজের পাপ চক্রের সঙ্গে অয়ন গোটা পরিবারকে জড়িয়ে ফেলেছিল। সন্দেহ এড়াতে সকলের নামেই অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছিল। ভাঙড়ে জমি কেনার কাজ শুরু করে দিয়েছিল অয়ন। অনেকটা কেষ্ট মণ্ডলের কায়দায় অয়ন তার ঘনিষ্ঠদের নামে জমি জমা কিনতে শুরু করে দিয়েছিল।