নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ED. ওদিকে সুজয়কৃষ্ণের হৃদযন্ত্রে আরও ব্লক খুঁজতে মরিয়া SSKM হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সেজন্য সুজয়কৃষ্ণের হৃদযন্ত্রের সক্ষমতা ফের পরীক্ষা করতে চলেছেন তাঁরা। এবার কাকুকে মুখোমুখি হতে হবে ‘নিউক্লিয়ার স্ট্রেস টেস্ট’এর।
SSKM হাসপাতাল সূত্রে খবর, কালীঘাটের কাকুর নিউক্লিয়ার স্ট্রেস টেস্ট বা স্ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন স্ক্যান করতে চলেছেন SSKMএর চিকিৎসকরা। সাধারণত বাইপাস সার্জারির পর ফের হৃদযন্ত্রে ব্লক দেখা দিলে এই পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় পাশ করলে রোগীর ফের বাইপাস সার্জারি করা হতে পারে। আর পাশ না করতে পারলে ওষুধ দিয়ে রোগীর হৃদযন্ত্রের সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু সুজয়কৃষ্ণের ফের নিউক্লিয়ার স্ট্রেস টেস্ট করা হচ্ছে কেন? তবে কি সুজয়কৃষ্ণের হৃদযন্ত্রে কোনও ব্লক রয়ে গিয়েছে? যে জন্য তাঁর পরীক্ষা করানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন SSKM-এর চিকিৎসকরা।
গত বছর ৩০ মে গ্রেফতার হন কালীঘাটের কাকু। ইডি হেফাজতের পর জেল হেফাজতে যেতেই পত্নীবিয়োগ হয় তাঁর। যার ফলে প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। প্যারোলের মেয়াদ শেষে জেলে পা রেখেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁকে ভর্তি করা হয় SSKMএ। এর পর আদালতের অনুমতি নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করান তিনি। বেসরকারি হাসপাতাল ছুটি দিলে ফের ভর্তি হন SSKM-এ। ওদিকে এর মধ্যে লাগাতার সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করে চলেছে ইডি। তবে তাতে সাফল্য পাওয়া যায়নি। ইডিকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। ফলে এবার ইডি কী পদক্ষেপ করে সেদিকেই নজর সবার।