একুশের নির্বাচনে বিজেপি যখন সর্বশক্তি দিয়ে এই সরকারকে উৎখাত করতে নেমে পড়েছিল তখন ‘খেলা হবে’ স্লোগান তাদের সামনে কার্যত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীর মুখে শোনা গিয়েছিল এবার ‘খেলা হবে’। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে ভাঙা পায়ে চেয়ারে বসে ফুটবল ছুঁড়ে বলতে শোনা গিয়েছিল ‘খেলা হবে’। তারপর একুশের নির্বাচনের ফলাফল বেরতেই অনেকে বলেছেন খেলা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করলেন ‘খেলা হবে’ দিবস। আজ সেই ‘খেলা হবে’ স্লোগানের একবছর পূর্ণ হল।
এই একবছর পূর্ণ হতেই ফেসবুকে সেটা পোস্ট করলেন স্লোগানের স্রষ্টা দেবাংশু ভট্টাচার্য। মনে করিয়ে দিলেন একবছর পূর্ণ হওয়ার কথা। এমনকী তাঁর গর্বের কারণও তিনি জানিয়েছেন ফেসবুক পোস্টে। সেখানে ছবি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যেখানে লেখা আছে, খেলা হবে’র একবছর। খেলা যে হয়েছে তা টের পেয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। রাজ্যের মানুষের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩টি আসন জয়লাভ করে। হ্যাট্রিক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী লিখেছেন দেবাংশু? আজ, শুক্রবার তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘দেখতে দেখতে এক বছর! এই স্লোগান আমার কাছে সন্তানের মতো। এই স্লোগান আমার কাছে আবেগ। রাস্তাঘাটে আজও কেউ দেখলে যখন ‘খেলা হবে’ বলে সম্মোধন করেন, ভেতরে ভেতরে বড্ড আনন্দ পাই। বাকি আর নতুন করে কি বলব? সবটাই ইতিহাস। ভারতবর্ষের এযাবৎকালের কোন স্লোগান নিয়ে এই পর্যায়ে পৌঁছেছে কিনা সন্দেহ আছে..। তাই, হ্যাপি বার্থডে’।
দেবাংশুর কাছে এটা বড় আবেগের বিষয় নিঃসন্দেহে। তবে রাজ্যবাসীর কাছেও তা কম কিছু নয়। কারণ আজও মানুষের মুখে শোনা যায় ‘খেলা হবে’। গ্রাম থেকে শহর এই স্লোগানে গা ভাসিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভার নির্বাচনও হয়ে গিয়েছে। সাফল্যের সঙ্গে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের বাকি পুরসভার নির্বাচনও হবে শীঘ্রই। আর স্লোগান উঠবে ‘খেলা হবে’।