দেশে ও বিশ্বে অনেকটাই কমেছে করোনার প্রকোপ। আর তার জেরে মোটের ওপর স্বাভাবিক হয়েছে রেল পরিষেবা। কিন্তু এখনো বন্ধ ভারত – বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসসহ অন্য ট্রেনগুলি। তার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেসের পরিষেবা ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল ২ দেশ। পরিষেবা শুরু হবে ২৬ মার্চ থেকে।
২০২০ সালে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা স্টেশন থেকে গেদে দর্শনা হয়ে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস। কলকাতা স্টেশন থেকে পেট্রাপোল বেনাপোল হয়ে খুলনাগামী বন্ধন এক্সপ্রেস ও নিউ জলপাউগুড়ি থেকে চ্যাংরাবান্ধা হয়ে ঢাকাগামী মিতালি এক্সপ্রেস। দুদেশের রেল মন্ত্রকের আলোচনার ভিত্তিতে অবশেষে চালু হতে চলেছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। ২৬ মার্চ থেকে ফের চলবে এই ট্রেন।
বাংলাদেশের মানুষের জন্য মৈত্রী এক্সপ্রেস অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ট্রেন। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে চিকিৎসা করাতে আসেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। তার মধ্যে অনেকের নানা শারীরিক জটিলতার কারণে বিমানে চড়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। অনেকের বিমানের টিকিট কাটার সামর্থ থাকে না। আবার সড়কপথে বাসে কলকাতা আসার ধকল নিতে পারে না শরীর। এই পরিস্থিতিতে তাদের একমাত্র ভরসা দুদেশের সংযোগ রক্ষাকারী ট্রেনগুলি। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, একে একে চালু হয়ে যাবে বাকি ট্রেনগুলিও।
তাছাড়া আগামী কয়েক বছরে ভারত বাংলাদেশের রেল যোগাযোগে যুগান্তর ঘটবে বলে মনে করছেন অনেকে। বাংলাদেশে পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেলে কলকাতা থেকে আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে ঢাকায়। তাছাড়া বনগাঁ লোকালকে পেট্রাপোল পর্যন্ত চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব রেল। সেক্ষেত্রেও সীমান্ত পার করে সরাসরি ট্রেনে উঠে পড়তে পারবেন ওপার থেকে আসা মানুষেরা।