তাঁর নিরাপত্তা তুলে নেওয়ায় আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অর্জুন সিং। সেই মতো গেলেনও কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা কেন্দ্রীয় সরকার প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে অর্জুন সিংয়ের আর্জি শুনল না কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিষয়ে তাঁকে অন্য বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি।
ঠিক কী পর্যবেক্ষণ আদালতের? ব্যারাকপুরের সাংসদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার মামলায় বিচারপতি শম্পা সরকারের পর্যবেক্ষণ, এখানে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া সিআইএসএফ নোটিশ দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে আদালত আপাতত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও গাফিলতি খুঁজে পায়নি। সাংসদকে আপাতত এই বিষয়ে অন্য বেঞ্চে আর্জি জানাতে হবে। ওই বেঞ্চ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি শুনতে পারে।
ঠিক কী ঘটেছে অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে? অর্জুন সিং বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছে। আর বুধবার তাঁর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে চোটে যান ব্যারাকপুরের সাংসদ। তখনই হুঁশিয়ারি দেন মামলা করার। একজন জনপ্রতিনিধির এভাবে সুরক্ষা তুলে নেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংসদ।
কী বলেছিলেন সাংবাদিক বৈঠকে? এই ঘটনার পর সাংবাদিক বৈঠকে অর্জুন সিং বলেছিলেন, ‘আমি তো একজন জনপ্রতিনিধি। আমার তো নিরাপত্তা লাগবেই। জেড ক্যাটেগরি নিরাপত্তা কেন্দ্রই দিয়েছিল। তুলে নেওয়ার জন্যই কি দিয়েছিল? আমি এই বিষয়ে জানতেই কলকাতা হাইকোর্টে যাব। আমার যদি প্রাণহানি ঘটে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী থাকবে।’